নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরের একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল। স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু লোক আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, এবং হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হতে না দেওয়ার জন্য উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও তার আশপাশের জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তবে ক্রমাগত গুলি চালানো এবং আর্টিলারি শেলিংয়ের কারণে উদ্ধারকাজ অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।
বেইত লাহিয়ার বিধ্বস্ত ভবনে ছয়টি পরিবার বসবাস করত, এবং অনেকেই তাদের বাড়ি ছাড়তে চান না, যদিও ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিকদের সরানোর চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে, গাজার জাবালিয়া শহরে এক বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া, মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরে তিনটি পৃথক হামলায় ১৫ জন নিহত ও দক্ষিণ গাজার রাফাহতে ড্রোন হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্যে জানা গেছে, গাজার ৯০% মানুষ গত এক বছরে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, এবং ৭৯% ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উচ্ছেদ আদেশ রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে গাজার ৪৩,৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে, এবং গাজার মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়ে উঠছে।