ভয়ানক গণহত্যা, মৃত ২২, আহত ৫০

পুলিশ জানিয়েছে, "আমরা সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছি এবং সেইসঙ্গে বাড়ির দরজা বন্ধ রাখতে বলেছি। "

author-image
SWETA MITRA
New Update
acci death.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবারও একবার রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল দেশে। বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ খোয়ালেন বহু মানুষ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইস্টন শহরে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ৫০-৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার তিনটি স্থানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নিরপরাধদের ওপর গুলি বর্ষণের পর থেকে সন্দেহভাজন পলাতক রয়েছে। বলা হচ্ছে, তার কাছে একটি লম্বা বন্দুক ছিল, যার সাহায্যে সে লোকজনের দিকে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ছিল। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস অফিস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে মেইনের গভর্নর ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে লুইস্টনে গুলি বর্ষণের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন।

লুইস্টনের মেইন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট গণহত্যার সাথে জড়িত 'সন্দেহভাজনের' একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এই গণ হত্যায় প্রায় ২২ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। লুইস্টন পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় বন্দুকধারীর পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। সন্দেহভাজন এখনও হেফাজতে নেই এবং একটি সক্রিয় অনুসন্ধান চলছে। আন্দ্রোসকোগিন কাউন্টি শেরিফ অফিস ফেসবুকে কথিত বন্দুকধারীর একটি ছবি শেয়ার করে মেসেঞ্জার বা ইমেলের মাধ্যমে সনাক্তকরণের সহায়তা চেয়েছে। শেরিফের কার্যালয় "সনাক্তকরণের জন্য সন্দেহভাজন" এর ছবি প্রকাশ করেছে। ওই ব্যক্তিকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাসল্ট স্টাইলের রাইফেল হাতে থাকতে দেখা গেছে।

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন নিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার মাইকেল জে সাউসচুক বলেছেন, 'আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে লুইস্টনে বেশ কয়েকটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বর্তমানে রবার্ট আর কার্ডকে খুঁজছে। তাকে সশস্ত্র এবং বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত একটি গাড়ি লিসবনে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইনের একটি শহর) অবস্থিত ছিল। আমরা লিসবনের বাসিন্দাদের সাথেও চেক করছি। রবার্ট কার্ডকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদের রাজ্যে শত শত কর্মকর্তা রাস্তায় নেমে পড়েছেন।' শুনুন তাঁর বক্তব্য...