নিজস্ব সংবাদদাতা: মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনায় এবার মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার লখনউতে ‘বাবা সাহেব ভিমরাও আম্বেদকর সম্মান সমারোহ’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন।
যোগী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে তিন জন হিন্দু নাগরিককে ঘর থেকে বের করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা সবাই প্রান্তিক ও গরিব সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা জমির প্রকৃত সুবিধাভোগী হওয়ার কথা।”
ওয়াকফ আইন বিরোধিতার প্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইন চালু হওয়ার পর থেকেই একাধিক স্থানে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, “গরিব মানুষ যদি ঘর পান, উন্নত জীবন পান, তাহলে বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এটাই তাঁদের ভয়। বিভ্রান্তির রাজনীতি আর চলবে না।”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/6venJMUyBYROetjRQIuG.JPG)
এছাড়াও, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতন প্রসঙ্গ তুলে ধরে যোগী বলেন, “বাংলাদেশে যারা অত্যাচারিত হচ্ছেন, তাঁরাও মূলত দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ কংগ্রেস, তৃণমূল বা সমাজবাদী পার্টি এ বিষয়ে কখনও আওয়াজ তোলে না।”
গত কয়েকদিন ধরে অশান্ত মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি এলাকা। হাইকোর্টের নির্দেশে সেখানে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনজনের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন তৎপর হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার পর নতুন কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সব ধর্মের মানুষের উদ্দেশে শান্তির বার্তা দিয়ে বলেন, “সব ধর্মের মানুষের কাছে আমার আবেদন—দয়া করে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন।”