নিজস্ব সংবাদদাতা: কর্মস্থলে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ভারতের আইন কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রয়েছে। ২০১৩ সালের কর্মস্থলে নারীদের উপর যৌন হয়রানি (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকার) আইন এই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু। আইনটি দশ বা তার বেশি কর্মচারী সম্পন্ন সংস্থায় অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) গঠনের নির্দেশ দেয়।
আইনটি আইসিসিদের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযোগগুলি সমাধান করার নির্দেশ দেয়। এটি অসম্মতির জন্য জরিমানা এবং ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের মতো শাস্তির বিধানও করে। এই ব্যবস্থা সত্ত্বেও, বাস্তবায়ন এবং সচেতনতার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বজায় রয়েছে।
অনেক সংস্থা অর্থের অভাব বা বোঝাপড়ার অভাবে আইসিসি গঠনে লড়াই করছে। আইন অনুসারে, ছোট ব্যবসাগুলি প্রায়শই বাইরের সদস্য নিযুক্ত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এটি অভিযোগ সমাধানে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
কর্মী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের কাছেই আইনের বিষয়ে সচেতনতা কম। অনেক শ্রমিক তাদের অধিকার সম্পর্কে অসচেতন বা ঘটনাগুলি কীভাবে রিপোর্ট করবেন তা জানেন না। এই জ্ঞানের অভাব শিকারদের এগিয়ে আসতে বিরত রাখতে পারে।
বিভিন্ন উদ্যোগ সচেতনতা এবং বাস্তবায়ন উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এনজিও এবং সরকারি সংস্থা কর্তৃক কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালিত হয়। এই প্রচেষ্টাগুলি আইনের বিধান সম্পর্কে নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়কে শিক্ষিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
কিছু সংস্থা কর্মস্থলের আচরণ সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারা এটিও নিশ্চিত করে যে আইসিসিগুলি মামলা কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য সুসজ্জিত।
যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ভারতের আইন সত্যই কার্যকর হতে হলে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চলমান শিক্ষা এবং সহায়তায় কর্মস্থল সকল কর্মচারীর জন্য নিরাপদ হতে পারে।