নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তর-পূর্ব ভারতে শীতের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। শীতকালীন ঠান্ডা থাকার জন্য পরিচিত এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন কৃষি এবং জল সম্পদের উপর প্রভাব ফেলছে। সেব এবং কমলালেবু যেসব ফসল ঠান্ডা আবহাওয়া প্রয়োজন, সেগুলিতে চাষীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জলের উৎস শুকিয়ে যাচ্ছে, যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের চাষীরা তাদের ফসলের জন্য নির্দিষ্ট আবহাওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে। সেব এবং কমলালেবু ভালো ফলন পেতে ঠান্ডা তাপমাত্রা প্রয়োজন। গরম শীতের সাথে সাথে এই ফসলগুলি ঝুঁকির মুখে পড়ে। চাষীদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুক্ত হতে হবে অথবা ফলন কম হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতি এই অঞ্চলের জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে।
গরম শীতের ফলে এই অঞ্চলের পাহাড়ে হিমবর্ষণ কমে যায়। হিমবাহ নদী ও ঝর্ণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জল উৎস। হিমবর্ষণ কমে যাওয়ার অর্থ কৃষি এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য জল উপলব্ধতা কমে যাবে। এই জল উৎসের উপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়ের তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য বিকল্প সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
এই পরিবর্তনের সাথে সাথে সম্প্রদায়ের যুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে। চাষীরা গরম তাপমাত্রায় সহ্যশীল নতুন ফসলের প্রজাতি খুঁজে বের করছেন। জল সংরক্ষণ তকনিক প্রচার করা হচ্ছে যাতে অনুপস্থিত সম্পদের উত্তম ভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। এই পদক্ষেপগুলি এই অঞ্চলের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে উদ্দেশ্য।
উত্তর-পূর্ব ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তাৎক্ষণিক কার্যকলাপের প্রয়োজনীয়তা উজ্জ্বল করে তুলে ধরে। পরিবর্তিত শীতের ধরণের সাথে সাথে সম্প্রদায়ের তাদের জীবিকা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য যুক্ত হতে হবে।