পঞ্চায়েতে হিংসা! মমতার মুখোমুখি কি হবেন রাহুল? নজর সকলের

বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দিল্লির ১০ জনপথ থেকে বেরিয়ে গেছেন। যদিও এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি কি হবেন রাহুল গান্ধী?

author-image
SWETA MITRA
New Update
mamata rahul.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হতে চলা বিরোধী দলগুলির বৈঠক ও পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে আবারও সরব হলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কেন তিনি এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অমিত মালব্য বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার মধ্যে কংগ্রেস কর্মীরাও রয়েছেন। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখোমুখি হবেন এবং সহিংসতার নিন্দা করবেন? নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রক্তপাতের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর নীরবতা কাপুরুষতা এবং আরও খারাপ ধরনের রাজনৈতিক সুবিধাবাদের গন্ধ বহন করছে।‘

মল্লিকার্জুন খাড়গে ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ঐক্য বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য শীর্ষ বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

 সম্প্রতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজের আমন্ত্রণপত্রে বলেছিলেন, "আগের বৈঠকটি একটি দুর্দান্ত সাফল্য ছিল কারণ আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার বিষয়ে সর্বসম্মত সমঝোতায় পৌঁছেছি।“

কংগ্রেস সভাপতি নেতাদের আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘আমরা জুলাইয়ে আবার দেখা করতে সম্মত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি যে এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। আমাদের দেশ যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তার সমাধান খুঁজতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।‘

তিনি বলেন, '১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় বেঙ্গালুরুতে নৈশভোজের পর এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। আগামী ১৮ জুলাই সকাল ১১টা থেকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বেঙ্গালুরুতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, অপেক্ষায় রইলেন।‘

 

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিহারের পাটনায় ১৫ টিরও বেশি দলের অংশগ্রহণে প্রথম বিরোধী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন সহ বহু মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা।

 

প্রায় ১৫টি রাজনৈতিক দলের ৩০ জনেরও বেশি নেতা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতে পাটনায় জড়ো হন এবং একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে সংহতি প্রকাশের জন্য অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। আম আদমি পার্টি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, কেন্দ্রের অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস যতক্ষণ না তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে না দেয় এবং এর বিরোধিতা না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত দলটি পরবর্তী সভা থেকে দূরে থাকবে। সুতরাং বিরোধী দলগুলি কীভাবে তাদের এজেন্ডায় এগিয়ে যাবে?  

 

বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রথম বৈঠকের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে বিরোধী দলের বৈঠকের সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।