নিজস্ব সংবাদদাতা: পেঁয়াজ উত্পাদনকারী কৃষকদের স্বার্থে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল এবার কেন্দ্রীয় সরকার। পেঁয়াজের উপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। আর তার ফলে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন লক্ষাধিক কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে কৃষকেরা এবার পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাবেন।
তবে সমস্ত ধরনের পেঁয়াজের উপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়নি। কেবল বেঙ্গালুরুর গোলাপ প্রজাতির পেঁয়াজের উপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকেরা যেমন খানিক উপকৃত হবেন, তেমনই দেশে পেঁয়াজের দামও মাত্রাছাড়া হবে না এবং ক্রেতারাও সমস্যায় পড়বে না বলেই আশাবাদী সরকার। পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত অগাস্টে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছিল। তখন সরকার বলেছিল যে মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক জারি ছিল। এর ফলে পেঁয়াজের রফতানি কমে যাবে এবং মজুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেছিল সরকার। তার ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে অনুমান। সরকারের এই সিদ্ধান্তে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে গেছে। পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ৪০-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে যেতে শুরু করেছিল। কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র পেঁয়াজের রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দেয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার কৃষক। পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন তাঁরা। অবশেষে ক্রেতাদের পাশাপাশি কৃষকদেরও কিছুটা সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বেঙ্গালুরুর গোলাপ প্রজাতির পেঁয়াজের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে। এটি সর্বোচ্চ রফতানি করা হয় থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশে। এবার এই পেঁয়াজের উপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।