নিজস্ব সংবাদদাতা: 'অ্যাস্ট্রোলজি' এবং 'অ্যাস্ট্রোনমি'। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান নিয়ে অঙ্ক কষে বিজ্ঞান কী বলছে? চন্দ্রযান ৩- এর মহাশূ্ন্যে পাড়ির আগে এল তার ভবিষ্যদ্বাণী। সেটা চমকে দেওয়ার মতোই।
১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২.৩৫ মিনিটে চাঁদের লক্ষ্যে রওনা দিয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান ৩। দীর্ঘ প্রায় ৪০ দিনের যাত্রা শেষে বুধবার চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে চলেছে তৃতীয় চন্দ্রযান। সে কি পারবে ইতিহাস গড়তে? জ্যোতিষ বলছে সফল ও ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ : ৫০। আমাদের দেশের মকর রাশি। মকর রাশির দ্বিতীয়ে শনি নিজের ঘরে। সাফল্য এই নির্দিষ্ট তারিখেই আসবে কি না, তা বলা মুশকিল। জানা যাচ্ছে যে বিগত আড়াই বছর ধরে শনি মকরে। কুম্ভে আরও আড়াই বছর শনি থাকবে। তাই আজ না হলেও আগামী আড়াই বছরে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের পক্ষে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে তৃতীয় চন্দ্রযান। সময়টি জ্যোতিষে ভালো কারণ শনি কুম্ভে থাকাকালীনই ভারতে মহাকাশ বিজ্ঞানে অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে কুম্ভ হল শনির মূল ত্রিকোণ। তাই বড় কোনও 'সায়েন্টিফিক ডিসকভারি' এখন হওয়া সম্ভব। আবার কেউ কেউ বলছেন যে শেষ লগ্নে কুণ্ডলীতে বুধ দুর্বল। সেটা খুব একটা ভাল নয়। কমিউনিকেশনে তাই জোর দেওয়া উচিত বিজ্ঞানীদের। নইলে শেষ মুহূর্তে সমস্যায় পড়তে পারে ইসরোর চন্দ্রযান।এই ২০ মিনিটকে রুদ্ধশ্বাস ক্রিকেট টি-২০ ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করছে নানা মহল।
তবে যদি এই কর্মকাণ্ড সফল হয় তবে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে অধীর পারেন ১৪০ কোটি ভারতীয়। দেশে বসে সরাসরি ঐতিহাসিক ওই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারবেন প্রতিটি ভারতবাসী। বিদেশ থেকেও দেখা যাবে এর সম্প্রচার। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO সরাসরি সম্প্রচার করতে চলেছে সেই দৃশ্য। গোটা বিশ্বজুড়ে ভারতীয়রা জোরকদমে করছে পুজো। নিউ জার্সিতে শ্রী সাই বালাজী মন্দিরে বিশেষ পুজো হওয়ার পাশাপাশি বিশেষ হোম হয়েছে ভার্জিনিয়ার মন্দিরেও। এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটি সজোরে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত। প্রকাশ্যেই যানটিকে ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিলI ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান' চাঁদের বুকে এক চন্দ্রদিবস অতিবাহিত করবে যা পৃথিবীর হিসেবে টানা ১৪ দিন। সব ঠিকঠাক এগোলে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে ভারতের নাম।