ED-র ডাকে সাড়া দিলেন আম্বানি পত্নী

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে আয়কর বিভাগ আম্বানিকে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে নোটিশ জারি করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনায় নতুন করে তৎপর হয়েছে ইডি।

author-image
SWETA MITRA
New Update
ED raids.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের শিরোনামে আম্বানি পরিবার। এবার আম্বানি পরিবারের বধূকে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। জানা গিয়েছে, শিল্পপতি অনিল আম্বানির স্ত্রী টিনা আম্বানি আজ মুম্বাইয়ে ইডির কার্যালয়ে হাজিরা দেন। গতকাল ফেমা (FEMA) মামলায় অনিল আম্বানির বয়ান রেকর্ড করা হয়।

রিলায়েন্স এডিএ গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে হাজিরা দেন। জানা গিয়েছে, অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এই ঘটনার তদন্তের বিষয়ে অনিল আম্বানির বিবৃতি রেকর্ড করেছেন ইডির আধিকারিকরা। ৬৪ বছর বয়সী আম্বানি সোমবার সকাল ১০টায় দক্ষিণ মুম্বাইয়ে এজেন্সির অফিসে পৌঁছান।

 

ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (ফেমা) বিভিন্ন ধারায় আম্বানির বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নতুন মামলায় আম্বানির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

 

অনিল আম্বানি ২০২০ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রমোটার রানা কাপুর এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় ইডির সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন।

 

গত বছরের আগস্টে আয়কর বিভাগ আম্বানিকে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে নোটিশ জারি করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছিল। অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে দুটি সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮১৪ কোটি টাকারও বেশি অঘোষিত অর্থ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত মার্চ মাসে বম্বে হাইকোর্ট আয়কর কারণ দর্শানোর নোটিশ ও জরিমানার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।


বাহামায় তিনি ২০০৬ সালে ড্রিমওয়ার্ক হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেড নামে একটি বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় ডায়মন্ড ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইউবিএস ব্যাংকের জুরিখ শাখায় একটি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

২০১০ সালে আম্বানি বিভিআইতে যোগ দেওয়া আরেকটি অপ্রকাশিত অফশোর সংস্থা হ'ল নর্থ আটলান্টিক ট্রেডিং আনলিমিটেড। এই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ব্যাংক অফ সাইপ্রাসের সাথে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছিল। সম্প্রতি প্যান্ডোরা পেপারসের তদন্তে আম্বানির সঙ্গে যুক্ত ১৮টি সংস্থার মধ্যে এই সংস্থাটি অন্যতম।