নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বায়োপিকের নাম ছিল অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার। ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। কিন্তু তাঁর নাকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথাই ছিল না। তাঁকে নিয়ে দেশের মধ্যে বাদ দেওয়া যাক, দলের মধ্যে কোনও জল্পনা ছিল না। হঠাৎ করেই কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
২০০৪ সালে নতুন করে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস ও তাদের শরিকদলগুলো। সেক্ষেত্রে মনে করা হয়েছিল, গান্ধী পরিবারের সদস্য সোনিয়া গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। এই বিষয়ে দেশের মানুষও একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু জন্মসূত্রে সোনিয়া গান্ধী ভারতীয় নন। তাই তিনি কতটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, সেই নিয়ে একাধিক সন্দেহ ছিল। অন্যদিকে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন। সেই সময়ের বিরোধীরা দাবি তোলেন কোনওভাবেই কোনও বিদেশিকে প্রধানমন্ত্রী করা যাবে না। শেষ মুহূর্তে পিছু হটেন সোনিয়া গান্ধী। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী মনমোহন সিং।
যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেসের অভ্যন্তরে যে নামগুলো উঠে এসেছিল, তার মধ্যে সব থেকে জোড়াল যে নামটি ছিল, তা হল প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কার্যত সকলকে অবাক করে দলের হাইকমান্ড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংকে বেছে নেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তবে যে সময়ে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তখন তিনি সাংসদও ছিলেন না। কেন তাঁকে কংগ্রেসের হাইকমান্ড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এখনও রয়ে গিয়েছে।