নিজস্ব সংবাদদাতা:দেশে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন পায়নি। এখন সংগঠনে অনেক পরিবর্তন আসবে। সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদ নিয়ে। বর্তমানে জেপি নাড্ডা বিজেপির জাতীয় সভাপতি হলেও রবিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। এখন তিনি শীঘ্রই বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন, তারপরে নতুন জাতীয় সভাপতি নিয়োগ করা হতে পারে।
জাতীয় সভাপতি পদের জন্য এই ৩ জনের নাম আলোচনায় রয়েছে:
১. সুনীল বনসাল: অমিত শাহের পর সুনীল বনসালকেও বিজেপিতে চাণক্য বলা হয়। শাহ এবং বনসালের জুটি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে দলকে বড় জয় দিয়েছিল। তখন শাহ উত্তর প্রদেশের ইনচার্জ এবং বনসাল ছিলেন সহ-ইনচার্জ। এরপর বনসালকে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বনসাল এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কল সেন্টার পরিচালনা করেছেন, প্রতিক্রিয়া নিয়েছেন এবং কর্মীদের জয়ের মন্ত্র দিয়েছেন।
২. অনুরাগ ঠাকুর: হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর লোকসভা আসন থেকে ৫ম বারের মতো সাংসদ হয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। ২০০৮ সালে তিনি এখান থেকে প্রথমবারের মতো উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন। তারপর থেকে তিনি অপরাজেয়। অনুরাগ ঠাকুরেরও সংগঠনের অভিজ্ঞতা আছে। তিনি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতিও ছিলেন। তিনি মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। অনুরাগ ঠাকুরের বাবা প্রেম কুমার ধুমল হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অনুরাগ প্রথম বিজেপি সাংসদ হয়েছিলেন যিনি সংসদ রত্ন পেয়েছিলেন। সেরা পারফর্ম করা মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, অনুরাগ ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়নি যা নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়।
৩. বিনোদ তাওরে: মহারাষ্ট্র থেকে আসা বিনোদ তাওরের প্রায় দুই দশকের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। ছোটবেলা থেকেই তিনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। কম ও সরাসরি কথা বলা নেতাদের মধ্যে তাওরেকেও গণ্য করা হয়। অখিল বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৯৫ সালে বিজেপি তাকে প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্রের সাধারণ সম্পাদক করে। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো বিধায়ক হন। তারপর তিনি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মন্ত্রিসভারও অংশ ছিলেন। বিহারে জেডিইউ এবং বিজেপির জোটের পিছনে তাওরের কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপি যদি মহারাষ্ট্র থেকে কোনও মুখকে প্রধান হিসাবে বেছে নেয় তবে তাওরের নাম প্রথমে আসবে।