নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকালের পহেলগাঁও হামলা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এখনও হুমকি। ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি জরুরি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুটোই ব্যর্থ, এটা মানতে হবে তাদের। তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে ও ফাঁকগুলি দূর করতে হবে। পহেলগাঁও আবার রক্তাক্ত হওয়া উচিত নয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে, AK-47 রাইফেল হাতে সজ্জিত ৩-৬ জন সন্ত্রাসী বৈসরনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের উপর গুলি চালায়- কি করছিল তখন ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা? কি করছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ? আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কীভাবে এত বাজেভাবে ব্যর্থ হল?উঠছে প্রশ্ন।
৩,৩২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত যা দুর্গম পাহাড় এবং ঘন বন দিয়ে ঘেরা সেখানে ভারতের ১.৪৫ মিলিয়ন শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং ২,৬৫,০০০ জন সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সদস্য থাকা সত্ত্বেও এই এলাকা পাহারা দেওয়া কঠিন এটাই প্রমাণিত। সীমান্তকে "সন্ত্রাস-প্রতিরোধী" করার দিকে কেন নজর নেই সরকারের? কেন সন্ত্রাস-প্রতিরোধ করা এত কঠিন? এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় দুর্বল বলেই দাবি বিশিষ্ট মহলে। তারা কি সময়মতো সতর্কতা জানিয়েছিল? এখন দাবি করা হচ্ছে যে কিছু গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু যদি সেটাই হয় তাহলে তা দ্রুত কার্যকর করা হয়নি কেন? কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। কেন সেখানেই হল এই গাফিলতি? কেন পর্যাপ্ত পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মী ছিল না? কিভাবে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে ঢুকতে পারে জঙ্গিরা? চেকিং- এর বিষয়টিও তুলছে প্রশ্ন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি নলিন প্রভাতের কাছে উত্তর চাইছে মানুষ।
/anm-bengali/media/post_attachments/assets/images/2025/04/23/pahalgam-terror-attack_f6ab11d2f6c76225354a20546e5b151d-491324.jpeg)