নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের বুকে প্রথম ইতিহাস গড়তে চলেছে উত্তরাখণ্ড। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এক নতুন ভারত গড়ার ডাক দিল উত্তর ভারতের এই রাজ্য।
উত্তরাখণ্ড ২৭ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়ে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যেখানে সকল নাগরিকের জন্য অভিন্ন বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার এবং দত্তক আইন প্রযোজ্য হবে। সমস্ত জনজাতির জন্যে নিয়ম একটাই থাকবে।
UCC-এর মূল বৈশিষ্ট্য
লিভ-ইন সম্পর্ক -
- লিভ-ইন সম্পর্ক বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।
- ২১ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য মা-বাবার সম্মতির প্রয়োজন।
- নিবন্ধন জমা দিতে না পারলে, মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে কিংবা ঘোষণাপত্র জমা না দিলে উল্লেখিত ব্যক্তির তিন মাস জেল পর্যন্ত হতে পারে।
- একই সাথে জরিমানা স্বরূপ দিতে হতে পারে ২৫ হাজার টাকা।
বিবাহের অভিন্ন বয়স
- উভয় লিঙ্গের জন্য বিবাহের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নিশ্চিত করবে যে তারা বিয়ের আগে তাদের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করতে পেরেছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/15/JnqptSWtfwn1bs76ynqT.webp)
বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা
- আজ থেকে বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
- তিন তালাকের মতো প্রথাগুলিও বাতিল করা হয়েছে।
উত্তরাধিকার অধিকারে সমতা
- ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই উত্তরাধিকার আইনে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে।
- লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানদের বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
ইসলামী সমাজের কিছু প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা
- নিকাহ হালালা ও ইদ্দত প্রথাগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা আগে ডিভোর্সী বা বিধবা মুসলিম মহিলাদের জীবনে প্রভাব ফেলত।
তফসিলি উপজাতিদের জন্য এই কোডের বিধান প্রযোজ্য হবে না। তাঁদেরকে এই বিধির অধীন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/15/ytnjmEOKzzkBYjSa2Jvk.jpg)
উত্তরাখণ্ডের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজ্যগুলোকেও UCC কার্যকরের দিকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সামাজিক সমতা ও নাগরিক অধিকারকে কতটা সফলভাবে সমর্থন করবে, এখন সেটাই দেখার।