নিজস্ব সংবাদদাতা: ইন্ডিগো-এর দিল্লি-গোয়া বিমান পরিষেবায় দেরি হওয়ার বিমান চালককে লাঞ্ছিত করে এক ব্যক্তি। সোমবারের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। বিমান চালকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন।
সোমবারের দিল্লি-গোয়া ইন্ডিগোর বিমান যাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সন্যাল ভিজ নামের এক যাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, "হিংসাকে কখনই সমর্থন করি না। ইন্ডিগো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিল। যার ফলে যাত্রীরা চরম অব্যবস্থার মুখে পড়েছিল। ইন্ডিগো নিজেদের ভুলগুলো কিন্তু প্রকাশ্যে আনেনি।" পাশাপাশি তিনি জানান, 6E2175 বিমানটির সকাল ৭.৪০ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। সেটি বিকেল ৫.৩৫ মিনিটে ওড়ে। ওই যাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, "একজন সহযাত্রী হিসেবে সেদিনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে আমি বাধ্য হচ্ছি। মন্তব্য পেশ করার আগে সবার প্রথমে বলতে চাই, আমি কখনই হিংসাকে সমর্থন করি না। আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই এবং ঘটনাগুলির উপর আলোকপাত করতে চাই।" সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "প্রথমে বিমানটি পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে ছিল। বিমানটিতে ১৮৬ জন যাত্রী ছিলেন। তারমধ্যে যেমন শিশুরা ছিল, তেমনি অনেক বয়স্ক মানুষ ছিলেন। ১২.৪০ মিনিটের মধ্যে বোর্ডিং প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ২.২০ পর্যন্ত বিমানের দরজাগুলো খোলা ছিল। গ্রাউন্ড স্টাফেরা প্রচণ্ড ভিড় করেছিলেন, বিমানটিকে পরিষ্কার করার জন্য।"
ওই যাত্রী বলেন, "প্রথমে বিমানের কর্মীরা বলেছিলেন, বিমান পরিষ্কার না থাকার কারণে দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছে না। দেড়টা নাগাদ বিমানের পাইলট ঘোষণা করেন, বিমানের এক কর্মী আসতে দেরি করছেন। তার জন্য় অপেক্ষা করছেন। তিনি এলে শীঘ্রই বিমান ছাড়া হবে। তখন আমরা বুঝতে পারি, বিমানের কর্মীরা আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।" তিনি বলেন, "সেই সময় বিমানের কর্মীরা গ্রাউন্ড স্টাফেদের জন্য গল্পে ব্যস্ত ছিলেন। বয়স্ক মানুষরা বার বার পানীয় জল দেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু বিমান কর্মীরা তা কর্ণপাত করেননি। দুপুর ২.৪০ মিনিট নাগাদ বিমানের দরজা বন্ধ হলেও তা অনেকক্ষণ স্থির ছিল। ওড়েনি। সেই সময় যাত্রীদের সঙ্গে বিমান কর্মীদের বচসা হয়। "