নিজস্ব সংবাদদাতা: জি-২০ বৈঠকের আবহে ভারতের সভাপতিত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বিশেষ লোগো প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। উজ্জ্বল সেই লোগোটি উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই। পাশাপাশি তার অর্থও স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন যে এই লোগোটি একইসঙ্গে জাতীয় পতাকার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে আবার বিশ্বে বসবাসকারী সব দেশের সঙ্গে ভারতের একাত্মবোধকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এর মাধ্যমে। আসলে জি-২০ বৈঠকের যাবতীয় সাজসজ্জা জুড়েই দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাবনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেখানে লোগোর ক্ষেত্রে যে সেই বক্তব্যে আরও বেশি করে জোর দেওয়া তা তো স্বাভাবিক।
৯ ও ১০ তারিখে মানে আগামী দুইদিন নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন প্রায় ২৫টি দেশের শীর্ষ নেতারা। থাকবেন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক ও আমলারাও। জি-২০-র প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে দেশের রাজধানী শহরজুড়ে ব্যাপক সাজসজ্জা। দেশের পক্ষে এই বৈঠক যাতে সম্পূর্ণ সফল হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের তরফে আয়োজনে রাখা হয়নি কোনও খামতি। এবার ভারতের একাধিক সৌধ আলোকিত হতে শুরু করেছে জি-২০ এর লোগোর মধ্যে দিয়ে। লালকেল্লা, গোয়ালিয়র ফোর্ট, হায়দরাবাদের বিখ্যাত চারমিনার, কাশ্মীরের শ্রীনগরের শ্রীশঙ্করাচার্যের মন্দির, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির- কার্যত কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা জুড়ে ভারতের সমস্ত সৌধেই ফুটে তোলা হচ্ছে এই লোগো।
ভারত জি-২০-র যে লোগো প্রকাশ করেছে তাতে সাত পাপড়ির এক পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল, ভারতের আধ্যাত্মিক ধারণাতেও এই ফুলটি পবিত্র বলে মনে করা হয়। জি-২০ সভাপতিত্বের লোগোতে পদ্মের চিহ্নটিকে এক্ষেত্রে ভারতের সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, সম্পদের প্রতীক বলেই তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। লোগোটি উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে পদ্মের সাতটি পাপড়ি পৃথিবীর সাতটি মহাদেশ এবং সঙ্গীতের সাতটি সুরের প্রতীক। একইসঙ্গে লোগোতে গেরুয়া, সাদা, সবুজ ও নীল রং-এর সহাবস্থান রয়েছে। জি-২০ সম্মেলন গোটা বিশ্বকে একত্রিত করতে চলেছে। সেই একতাকেই প্রকাশ করছে এই লোগো। পাশাপাশি তা প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতাকেও তুলে ধরছে। আর এই লোগোর নিচেই দেবনাগরী হরফে ‘ভারত’ এবং ইংরেজি হরফে ‘ইন্ডিয়া’ লেখা। ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্কে জলঘোলা হলেও লোগোতে কিন্তু দুই নামকেই স্থান দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।