নিজস্ব সংবাদদাতা: গতবছর একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে শোনা গিয়েছিল, যে এবারে আর শীত সেই অর্থে পড়বে না। জাঁকিয়ে শীত যা পড়ে গিয়েছে সেটাই, তার বদলে আর ঠান্ডার তীব্রতা বাড়বে না। স্বাভাবিক ভাবেই শীতপ্রেমী মানুষদের মন ভেঙে যায় এই পূর্বাভাসে। তবে নতুন বছর কিন্তু শীতের দাপট দেখা যাচ্ছে অন্যরকমই। অন্তত এরাজ্যে শীতের দাপটটা রয়েছে। তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু ঠান্ডা নিয়ে মন খারাপের খবরই শোনাল আইএমডি।
পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলের কিছু এলাকা ব্যতীত জানুয়ারি মাসে ভারতের বেশিরভাগ অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বা IMD ইতিমধ্যেই জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এদিন এই বিষয়ে বলেছেন, উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ উপদ্বীপের কেন্দ্রীয় অংশগুলি ব্যতীত দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।
তিনি বলেন, মধ্য ভারতের পশ্চিম ও উত্তর অংশে জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শৈত্যপ্রবাহ অনুভব করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া আইএমডি বলেছে যে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে উত্তর ভারতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে। দীর্ঘকালীন গড় (এলপিএ) এর ৮৬ শতাংশেরও কম হবে। ১৯৭১-২০২০ ডেটার উপর ভিত্তি করে বলতে গেলে বলা যেতে পারে, এই সময়ের মধ্যে উত্তর ভারতের গড় বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে প্রায় ১৮৪.৩ মিমি। তবে এবছর মনে করা হচ্ছে সেই বৃষ্টির পরিমাণও কম হবে অন্যান্য বছরের তুলনায়।
উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে শীতকালে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গম, মটর, ছোলা এবং বার্লি সহ রবি শস্য চাষ হয়। আর গরম কালে এপ্রিল থেকে জুন মাস এই সময়ের মধ্যে ফসল তোলা হয়। তবে এবছর আবহাওয়ার খামখেয়ালির জন্যে বদলেছে সবটা। চাষাবাদেও এই আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। আর এরপর জানা যাচ্ছে, এবারে শীতকালীন বৃষ্টিও কম হবে, ফলের শস্যের ওপর প্রভাব আরও পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চাষীরা।