নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক দেশ-এক নির্বাচন কমিটির সুপারিশগুলি গ্রহণ করেছে। দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলো এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে একমত না হয়ে খামতি গুনছে। কিছু দলও সমর্থনে এসেছে এবং খোলাখুলিভাবে কমিটির রিপোর্টকে রক্ষা করছে।
এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নানা শঙ্কা রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্য বিপদে পড়বে বা শেষ হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। কারণ জনগণ জাতীয় সমস্যা মাথায় রেখে ভোট দেবে এবং এতে ক্ষতির মুখে পড়বে আঞ্চলিক দলগুলো। ভোটাররা আঞ্চলিক সমস্যার চেয়ে জাতীয় ইস্যুকে প্রাধান্য দিতে পারে। বিধানসভা নির্বাচনেও সমস্যায় পড়তে পারে আঞ্চলিক দলগুলো। ভোটারদের ফোকাস থাকবে জাতীয় দলগুলো।
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে পড়তে হতে পারে সরকারকে। পাশাপাশি বাজেটের একটি বড় অংশও একই সঙ্গে ব্যয় করতে হবে। লক্ষ লক্ষ ইভিএম এবং পেপার ট্রেলার মেশিন কিনতে হবে এবং স্টোরেজের জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। এতে হাজার কোটি টাকা বাড়বে অতিরিক্ত ব্যয়। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়বে। সাধারণত, ইভিএম ১৫ বছর স্থায়ী হয়। এগুলো এক নির্বাচনে মাত্র তিন-চারবার ব্যবহার করা যায়। এরপর নতুন মেশিন কিনতে হবে। তবে আইন কমিশন এক প্রতিবেদনে বলেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ও ধীরে ধীরে কমবে।