নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লি বিধানসভায় মঙ্গলবার কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) কর্তৃক পেশ করা এক রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে, ২০২১ সালের নভেম্বরে বাস্তবায়িত এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাতিল হওয়া আবগারি নীতির ফলে দিল্লি সরকার ২,০০২.৬৮ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে।
CAG রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নীতির ভুল সিদ্ধান্ত এবং দুর্নীতির কারণে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে।
১) সবচেয়ে বড় ক্ষতি – ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা - কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না, তবুও সেখানে লাইসেন্স দেওয়া হয়, যা ভূমি ব্যবহারের নিয়মের পরিপন্থী ছিল।
২) এছাড়াও ৮৯০.১৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে - ১৯টি অঞ্চলে টেন্ডার না হওয়ায় সরকার কোনো রাজস্ব আদায় করতে পারেনি।
৩) ১৪৪ কোটি টাকা ক্ষতি - কোভিড-১৯-এর নামে লাইসেন্সধারীদের ফি ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
৪) ২৭ কোটি টাকা ক্ষতি - জোনাল লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকে ভুলভাবে সিকিউরিটি ডিপোজিট সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এই নিয়ে মোট ২,০০২.৬৮ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/08/z1ZLC2FktutCfudK46md.webp)
- পাইকারি বিক্রেতাদের মুনাফা ৫% থেকে বাড়িয়ে ১২% করা হয়েছিল।
- এই বাড়তি ৭% এর একটি অংশ AAP নেতাদের ঘুষ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
- বাছাইকৃত পাইকারদের একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হয়।
CAG রিপোর্ট অনুসারে, দিল্লির বাজারে বিক্রি হওয়া মদের ৭০% এরও বেশি মাত্র তিনটি পাইকারের হাতে ছিল। ইন্দোস্পিরিট, মহাদেব লিকারস, ব্রিন্ডকো।
ইন্দোস্পিরিট – ৭৬টি ব্র্যান্ড
মহাদেব লিকারস – ৭১টি ব্র্যান্ড
ব্রিন্ডকো – ৪৫টি ব্র্যান্ড
দিল্লির বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া, সরকারি দোকানের তুলনায় বেসরকারি দোকানগুলোতে মদ বেশি বিক্রি হওয়ায় দিল্লি সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/7JNilTXursapAXk8p4EZ.jpg)