নিজস্ব সংবাদদাতা: মণিপুরের ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন স্মৃতি ইরানি। তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাবে নিশানা করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, "এই (মণিপুর ভাইরাল ভিডিও) ইস্যুটি শুধুমাত্র সংবেদনশীল নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে এবং বিরোধী নেতাদের কাছে এটি পরিচিত৷ তবে সংসদের ফ্লোরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায়নি বিরোধীরা। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক তা হল, গতকাল রাজস্থান রাজ্যের একজন মন্ত্রী রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে কথা বলেছেন। তারপরেই তাকে কংগ্রেস অনাকাঙ্খিতভাবে বরখাস্ত করেছে। একইভাবে মর্মান্তিক একটি ভিডিও পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে উদ্ভূত হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই দলিত মহিলাকে মারধর করা হচ্ছে এবং ছিনতাই করা হচ্ছে। রাজস্থান রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের সত্যতা শুনতে চায়নি কংগ্রেস। কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মানুষ হত্যার বিষয়ে নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে কারণ তারা তৃণমূলকে সহযোগিতার জন্য ক্ষুধার্ত"। উল্লেখ্য, মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলে আসছে। যার ফলে বারংবার মণিপুরের বিজেপি শাসিত সরকারের ওপর প্রশ্ন উঠেছে। তবে সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও গোটা দেশকে লজ্জার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুইজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে উলঙ্গ ভাবে রাস্তা দিয়ে উল্লাসের সঙ্গে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই দৃশ্য ভারতের মানুষকে হৃদয় থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আর এরপর থেকেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আরও সরব হয়েছে বিরোধীরা। তারা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তবে ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে মন্তব্য রেখেছেন এবং দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক দোষীকে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর পূর্বেই দাবি করেছেন, ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র বিরোধীরা রাজনীতি করছেন। যদিও অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।
মণিপুরের ভাইরাল ভিডিও: স্মৃতি ইরানির মন্তব্যে চমক
মণিপুরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি কংগ্রেস ও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা: মণিপুরের ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন স্মৃতি ইরানি। তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাবে নিশানা করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, "এই (মণিপুর ভাইরাল ভিডিও) ইস্যুটি শুধুমাত্র সংবেদনশীল নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে এবং বিরোধী নেতাদের কাছে এটি পরিচিত৷ তবে সংসদের ফ্লোরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায়নি বিরোধীরা। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক তা হল, গতকাল রাজস্থান রাজ্যের একজন মন্ত্রী রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে কথা বলেছেন। তারপরেই তাকে কংগ্রেস অনাকাঙ্খিতভাবে বরখাস্ত করেছে। একইভাবে মর্মান্তিক একটি ভিডিও পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে উদ্ভূত হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই দলিত মহিলাকে মারধর করা হচ্ছে এবং ছিনতাই করা হচ্ছে। রাজস্থান রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের সত্যতা শুনতে চায়নি কংগ্রেস। কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মানুষ হত্যার বিষয়ে নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে কারণ তারা তৃণমূলকে সহযোগিতার জন্য ক্ষুধার্ত"। উল্লেখ্য, মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলে আসছে। যার ফলে বারংবার মণিপুরের বিজেপি শাসিত সরকারের ওপর প্রশ্ন উঠেছে। তবে সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও গোটা দেশকে লজ্জার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুইজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে উলঙ্গ ভাবে রাস্তা দিয়ে উল্লাসের সঙ্গে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই দৃশ্য ভারতের মানুষকে হৃদয় থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আর এরপর থেকেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আরও সরব হয়েছে বিরোধীরা। তারা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তবে ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে মন্তব্য রেখেছেন এবং দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক দোষীকে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর পূর্বেই দাবি করেছেন, ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র বিরোধীরা রাজনীতি করছেন। যদিও অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।