১৬ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ অমিত শাহের

ট্রান্সফর্মার ফেটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং পাঁচজন হোমগার্ডও রয়েছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রেলিংয়ে স্রোত ছিল। এ কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
amit shah chamolo.jpg

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। চামোলি জেলার একটি নর্দমা প্ল্যান্টে ট্রান্সফর্মার ফেটে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর ও পাঁচজন হোমগার্ড রয়েছেন। এতে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, "চামোলিতে মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সাথে কথা বলেছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। আমি শোকস্তব্ধ পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।“  

 

 

 পুলিশ ও প্রশাসনের টিম উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়ার কারণে নর্দমা প্লান্টে স্রোত ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে কর্মরত সব শ্রমিকই এর কবলে পড়েন। চামোলির এই দুর্ঘটনা আশেপাশের এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দল গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। চামোলির এসপি প্রমেন্দ্র দোভাল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। অলকানন্দা নদীর তীরে ট্রান্সফর্মারের বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

 

এডিজিপি ভি মুরুগাসান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং পাঁচজন হোমগার্ডও রয়েছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রেলিংয়ে স্রোত ছিল। এ কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও তদন্ত চলছে। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, বদ্রীনাথ হাইওয়েতে কর্মরত এক পোস্ট ইনচার্জও এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বিদ্যুৎ কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় বিশৃঙ্খলার পরিবেশ বিরাজ করছে। নমামি গঙ্গে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা ও প্রযুক্তিবিদরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দুর্ঘটনার সময় সেখানে ২২ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।