নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবন থেকে বেরিয়ে গে লেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার বাসভবনে সোমবার রাতে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, দিল্লি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব, দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরী এবং প্রবেশ ভার্মা।
বিজেপি সূত্রে খবর, দিল্লির অননুমোদিত কলোনি, বস্তি, জলের সমস্যা, বিদ্যুতের বিল ইত্যাদি ইস্যু সামনে রাখা এবং দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার এবং তাদের দুর্নীতি সম্পর্কে সত্য জনগণের সামনে আনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে হাইকমান্ড ৭ দিনের মধ্যে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির রোডম্যাপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মেধা জনসমক্ষে আনা এবং বিধানসভা নির্বাচনে জেতার কৌশল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়বে বিজেপি।
দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতিতে বিরক্ত এবং বিজেপি নতুন কৌশল নিয়ে দিল্লির নির্বাচনী ময়দানে নামবে। সূত্রের খবর, দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে জয়ের জন্য তা জোরালোভাবে কাজ করবে।
সূত্রে খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ত্রুটি ও দুর্নীতি জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যকে যতটা সম্ভব দিল্লির মানুষের সামনে তুলে ধরার মতো কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ও গোয়ার বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন নাড্ডা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও নেতা সুরেন্দ্র অধিকারী, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে।