'বিপর্যয়' নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী ১৫ জুন 'অত্যন্ত তীব্র' ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়'-এর প্রভাবের জন্য গুজরাট রাজ্য প্রস্তুত। আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের মধ্যে গুজরাট উপকূলে এটি চতুর্থ বড় ঘূর্ণিঝড়।

author-image
SWETA MITRA
New Update
mansukh.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তীব্র আকার ধারণ করে গুজরাট উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। এদিকে আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) গুজরাটের কচ্ছ- ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়'-এর আগে প্রস্তুতি নিয়ে গুজরাটের সমস্ত জেলার সাথে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

গুজরাটের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর বা আইএমডি। এদিকে মহারাষ্ট্রের সমুদ্র সৈকতগুলি রীতিমতো ফুঁসছে। উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে।  আইএমডি-র সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, আজ আংশিক মেঘলা আকাশ এবং শহর ও শহরতলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু  তাই নয়, বজ্রবিদ্যুৎ সহ এই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মাঝে মাঝে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং শহর ও শহরতলিতে আজ অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

 

বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে তবে এটি গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে যে সাইক্লোনটি আগামী ১৫ই জুন আঘাত হানবে। ইতিমধ্যে পশ্চিম রেল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ৬৭ টি ট্রেন বাতিল করেছে এবং আরও ৪৩ টি ট্রেন বাতিল করেছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা হ্রাস পেলেও আইএমডি সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূলের জন্য কমলা সতর্কতা অব্যাহত রেখেছে কারণ বিপর্যয় ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে আনতে পারে।  

আগামী ১৬ জুন দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর পশ্চিম রেলওয়ে (এনডব্লিউআর) কিছু ট্রেন পরিষেবা বাতিল করেছে। জয়পুর আবহাওয়া কেন্দ্রের ইনচার্জ রাধেশ্যাম শর্মা বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় দুর্বল হয়ে ১৬ জুন নিম্নচাপ হিসেবে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে প্রবেশ করতে পারে।' তিনি আরও জানান, ঝড়ের প্রভাবে যোধপুর ও উদয়পুর বিভাগের জেলাগুলিতে ১৫ জুন বিকালের পরেই বজ্রপাত ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সোমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি এবং প্রস্তুতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর আগে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান।