ব্যবসায় আড়ালে কী পাচার করতো! মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক

মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। পেঁয়াজ বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গিরা কী পাচার করতো সেই নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
d


নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশে তীব্র অশান্তির মধ্যেই মুর্শিদাবাদ থেকে এসটিএফ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া আব্বাস ও মিনারুলকে নিয়ে একধিক সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে তাঁদের যোগ পাওয়া গিয়েছে।  এবার তাদের একের পর এক কার্যকলাপ  প্রকাশ পাচ্ছে। তাতেই ঘুম উড়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। 

ধৃত মনিরুল মাঝে মাঝেই অসমে যেতেন। সেখান থেকে বীজ এনে এখানকার কৃষকদের দিতেন।  কিন্তু গোয়েন্দা মনে করেছেন, এটা লোক দেখানো ব্যবসা। এর মাধ্যমেই কিছু পাচার করতো ধৃত। কিন্তু কী পাচার করতো মনিরুল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। পেঁয়াজের বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপে সহযোগীদের যাতায়াত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অসম থেকে প্রায়ই লোক আসতেন মিনারুলের বাড়িতে। অসম থেকে ধৃত নুর ইসলাম ও মুজিবুর রহমানের আনাগোনা ছিল মুর্শিদাবাদে। আব্বাসের সহযোগী মিনারুল এলাকায় পাম্প সারাইয়ের কাজের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজের ব্যবসা করত। অসম থেকে বীজ এনে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হত।

জানা গিয়েছে, মিনারুল ও আব্বাসের মধ্যে একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানেই তাঁদের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হতো।  গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল। সুতি সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিল। তাদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না বলে জানা গিয়েছে। সুতি এলাকাতে জঙ্গিদের বৈঠক হয়েছে।  স্লিপার সেলের সদস্যরা তিন দিন ছিল ভারতে বলে জানা গিয়েছে।