নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পুলিশ জানিয়েছে, আনাকাপল্লী জেলার অচুতাপুরমে অবস্থিত সাহিথি ফার্মা কোম্পানিতে শুক্রবার বিস্ফোরণে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। বিস্ফোরণে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে দু'জন বিশাখাপত্তনমের কেজিএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন এবং তাদের বেশিরভাগ অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গিয়েছেন। মৃত দুই ব্যক্তি হলেন কারখানার শ্রমিক উপপদ তিরুপতি এবং পাইলা সাত্তিবাবু।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আনাকাপল্লী জেলার রামবিলি মণ্ডলের জঙ্গলাপালেমের বাসিন্দা সাত্তিবাবু ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মারা যান এবং বিজয়নগরম জেলার উপপদ তিরুপতি ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মারা যান।
Andhra Pradesh govt announces Rs 25 lakh ex-gratia each for next kin after two died in a fire accident of Sahithi Pharma in the Achuthapuram Industrial Special Economic Zone in Anakapalli.
"The accident occurred during solvent recovery at Sahitya Pharma Industry in Achuthapuram.…
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর দগ্ধ দু'জন সহ আরও চারজনকে কেজিএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরও একজনকে অচুতাপুরমের স্টার জেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে তিনজন দমকলকর্মীও সামান্য আহত হয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রী গুড়িভাদা অমরনাথ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ পেলে বাকি পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবে রাজ্য সরকার।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ অচুতাপুরম স্পেশাল ইকোনমিক জোনে (এসইজেড) ফার্মা কোম্পানির দ্রাবক পুনরুদ্ধার প্ল্যান্টে বিস্ফোরণটি ঘটে।
আনাকাপল্লী জেলার পুলিশ সুপার কে ভি মুরালি কৃষ্ণ শুক্রবার জানিয়েছেন, সম্ভবত কোনো প্রতিক্রিয়ার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি দ্রাবক পুনরুদ্ধার প্ল্যান্ট। দ্রাবকগুলো লোড করার সময়, কিছু প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
এদিকে, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সে সম্পর্কে কারখানা পরিদর্শক একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণ।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে এবং সেখানে জড়ো হওয়া জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, যাতে তারা দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আসতে না পারে।
সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আগুন নেভানোর জন্য দমকলের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, যা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারখানার পরিদর্শক বিষাক্ত গ্যাসের কোনও সম্ভাব্য লিকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার পর পুলিশ আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে এবং আনাকাপল্লী শহরের এনটিআর সরকারি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।