নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কয়েকদিন আগে বিরোধী দলগুলি পাটনায় বৈঠক করেছে। তবে এবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি শুনে মনে হচ্ছে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রবিবার, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূল একাই সক্ষম বলে দাবি করেছেন। আর এই দাবিই বিরোধী ঐক্যের ধারণাকে আঘাত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "আমরা চাই না পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী ঐক্যের প্রভাব পড়ুক। তৃণমূল কংগ্রেস একাই বাংলায় সংসদীয় নির্বাচন লড়তে সক্ষম এবং আমাদের বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন নেই"। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি দেশ বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন মানলেও বাংলায় তৃণমূল বিরোধীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না? ফলে এই প্রশ্নও উঠছে, তাহলে দেশে বিরোধী ঐক্যের কি হবে? আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা একমত হয়ে একজোট হতে পারবে তো?
/anm-bengali/media/post_attachments/GZ4mUVBhPNS4xlLZy6hq.jpg)
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডঙ্কা বাজছে। এই নির্বাচনের ভাষণ দিতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম একসঙ্গে হয়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করছে। যদিও পাটনায় হওয়া বিরোধীদের বৈঠকে কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, বিরোধী ঐক্যের মধ্যে প্রথমেই ফাটল এসেছিল আপকে কেন্দ্র করে। দিল্লিতে আনা কেন্দ্রের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের মত সঠিক নয় বলে দাবি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই বিষয় নিয়ে দেশ জুড়ে তরজা ক্রমশই বৃদ্ধি পায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আপ ও কংগ্রেসের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এই মন্তব্যে বিরোধী ঐক্যের বিষয়ে প্রশ্ন চিহ্ন আরও অনেকটাই বড় হল দেশ জুড়ে। তবে বিরোধীরা কিছুদিনের মধ্যেই ফের একজোট হয়ে ঐক্য গড়ার বিষয়ে আলোচনা করবে। এখন দেখার এই আলোচনা বিজেপি বিরোধী ঐক্য গঠনে কতটা প্রভাব ফেলবে।