অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে হিঁচড়ে...অমিত শাহ, ফুঁসছে তৃণমূল

ফুঁসছে তৃণমূল। গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। দলের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

author-image
SWETA MITRA
New Update
ABHISHEK TAN.jpg

 

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গতকাল মঙ্গলবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় দিল্লিতে। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), মহুয়া মৈত্র সহ একাধিক নেতা, সাংসদ, কর্মীদের একপ্রকার চ্যাংদোলা করে নিয়ে যা দিল্লি পুলিশ। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলা অশান্ত হয়ে উঠেছে। যদিও এই নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাকেত গোখলে। তিনি আজ বুধবার এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের এক মহিলা মন্ত্রীকে পেছন থেকে ধরে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশের এক পুরুষ ডিসিপি। এর পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের দ্বারা খুবই লাঞ্ছিত হয়েছিলেন।  অমিত শাহ কি পুরুষ পুলিশকে নিরস্ত্র এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসে থাকা মহিলাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন? যদি তারা একজন মন্ত্রীর সাথে এমনটাই করে, তাহলে কল্পনা করুন যে তারা একজন সাধারণ মহিলার সাথে কী করবে?  মোদী 'নারীর ক্ষমতায়ন নারী সংরক্ষণ' নিয়ে কথা বলেন। মোদীর মতে, একজন পুরুষ পুলিশ কি একজন নির্বাচিত মহিলা মন্ত্রীকে কোমর থেকে ধরে 'ক্ষমতায়ন' করছে?

মোদী তাঁর দল নারী বিদ্বেষী, যারা ব্রিজভূষণ শরণের মতো ধর্ষক যৌন নিপীড়কদের আশ্রয় দিয়েছে।‘

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি (TMC)। সারা দেশ থেকে তৃণমূল কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অভিযোগ, বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনেই পুলিশ তাঁদের সাংসদ ও নেতাদের মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের নির্মমভাবে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে অবস্থান রত তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী জ্যোতিও এর পাল্টা জবাব দেন। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'আড়াই ঘণ্টা নষ্ট হয়েছে। তৃণমূল সাংসদদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু তারা আসেনি।'