নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে চলছে তৃণমূল-কংগ্রেসের বিশেষ অভিযান। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে জোড়াফুল শিবির। এমন অবস্থায় একাধিক ক্ষেত্রেই কোনও অনুমতি পায়নি তৃণমূল। দিল্লি পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই অনুমতি দেয়নি। ফলে এক্ষেত্রেই নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে তৃণমূলের মহা কর্মসূচীতে পুলিশের ভূমিকা কি হবে? কীভাবে সেজে উঠেছে যন্তর-মন্তর, রাজঘাট, কৃষিভবন, নতুন সংসদ ভবন চত্বর? কি ভাবছে দিল্লি পুলিশ?
যা জানা যাচ্ছে, আজ রাজঘাটে ভিভিআইপিদের উপস্থিতি বেশি ছিল বলে সেই চত্বরে সকাল থেকে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। পরে অবশ্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে রাজঘাট। তবে রাজঘাটে সবাই মিলে ধর্নায় বসতে পারবেন না। হাতে গোনা কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়া। কিন্তু এখনও যা খবর রাজঘাটের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। সেখানে মোতায়েন রয়েছে অসংখ্য সংখ্যক পুলিশ কর্মী, সিআরপিএফ জওয়ান, কমব্যাট ফোর্স। পরিস্থিতি বেগতিক হলে কঠোর হাতেই দায়িত্ব পালন করবেন তারা বলেই এমন নির্দেশ রয়েছে তাঁদের কাছেও।
অন্যদিকে, যন্তর মন্তরে হাজার জনের বেশি অবস্থানে বসতে পারবেন না। এছাড়া এখনও যন্তর-মন্তরে বসার অনুমতিও পায়নি তৃণমূল। সেক্ষেত্রে নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়েই সেখানে সমাবেশ হবে তৃণমূলের। তাতে পুলিশি হস্তক্ষেপ পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
আবার আজই বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ অভিষেকের নেতৃত্বে রাজ্যের বঞ্চিত ছাত্রযুবদেরকে নিয়ে নতুন সংসদ ভবন অভিযান করা হবে। সংসদ ভবন চত্বর এমনিতেই রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া, সেখানেও বিক্ষোভ অভিযান করা যায় না। অভিষেক নেতৃত্বাধীন দল নিয়ম বিরুদ্ধই অভিযান করবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
এদিকে, কৃষি ভবনে বকেয়া আদায়ের দাবিতে যে অভিযান সেখানেও রয়েছে নিয়ম-কানুনের বেড়াজাল। কৃষি ভবনের বাইরে ২৫ জনের বেশি মানুষ জমায়েতের অনুমতি নেই। ফলে সর্বদিক থেকে নিয়ম কানুন রয়েছে একাধিক।
সাধারণত, ল্যুটেন্স দিল্লি, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, রেল ভবনে ঘেরা অংশে সাধারণ মানূষের জমায়েত নৈব নৈব চ। ফলে তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচী সরিয়ে আনতে হবে যন্তর-মন্তর চত্বরে। যদিও সেখানেও রয়েছে একাধিক বাধা। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শর্ত মেনে তবে ধর্না কর্মসূচীর অনুমোদন দেওয়া হবে যন্তর-মন্তর চত্বরে।
প্রসঙ্গত, এই দিল্লি, কৃষক আন্দোলন, কুস্তিগীরদের আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে। গোটা দেশ দেখেছে আন্দোলন হটাতে দিল্লি পুলিশের রুদ্রমূর্তি। ফলে শর্ত না মেনে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ সদয় হবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক কারবারিরা।