ভারতে শীতকালীন বিক্রয়ের সময় অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা বেড়েছে

শীতকালে অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
sadwd

নিজস্ব সংবাদদাতা: শীতকালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ভারত প্রস্তুত। দেশের লক্ষ্য হল কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে শক্তির সরবরাহ বজায় রাখা। পরিষ্কার শক্তির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে, ভারত তার লক্ষ্য পূরণের জন্য সৌর ও বায়ু শক্তিতে মনোযোগ দিচ্ছে।

সৌর শক্তির উদ্যোগ
ভারত সৌর শক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর ক্ষমতা ২৮০ জিডাব্লিউ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করেছে। রাজস্থান এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন রাজ্যে সৌর খামার স্থাপন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলিতে প্রচুর সূর্যালোক পাওয়া যায়, যা এগুলিকে সৌর প্রকল্পের জন্য আদর্শ করে তোলে।

বায়ু শক্তির উন্নয়ন
বায়ু শক্তি ভারতের আরেকটি মনোযোগের ক্ষেত্র। দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৪০ জিডাব্লিউ বায়ু শক্তি অর্জনের লক্ষ্য রেখেছে। তামিলনাড়ু এবং গুজরাটের মতো উপকূলীয় অঞ্চল বায়ুশক্তি খামারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলগুলিতে শক্তিশালী বাতাস আছে যা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

শীতকালে চ্যালেঞ্জ
শীতকালীন মাসগুলিতে ভারতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সৌর শক্তি উৎপাদনে সূর্যালোক কমে যায়। বায়ু প্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়, যা বায়ু শক্তির উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য, ভারত উন্নত প্রযুক্তি এবং স্টোরেজ সমাধানে বিনিয়োগ করছে।

স্টোরেজ সমাধান
শক্তি সঞ্চয় সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সম্পূর্ণ সময় উৎপন্ন অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় করার জন্য ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম অনুসন্ধান করছে। উৎপাদন কমে গেলে এই সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে, যা একটি স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

সরকারি সহায়তা
ভারত সরকার নীতি এবং প্রণোদনা মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সমর্থন করে। পরিষ্কার শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং ভর্তুকি উৎসাহিত করে। এই ব্যবস্থাগুলির লক্ষ্য হল দেশের নবায়নযোগ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি প্রতিশ্রুতি তার আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে স্পষ্ট। সৌর এবং বায়ু শক্তিতে মনোযোগ দিয়ে, দেশ একটি টেকসই ভবিষ্যত তৈরি করার লক্ষ্য রেখেছে। শীতকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এই লক্ষ্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।