নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সম্প্রতি, অরুণাচল প্রদেশের একটি নামবিহীন পর্বতশৃঙ্গের নাম, ষষ্ঠ দলাই লামার নামে দিয়েছেন ভারতীয় পর্বতারোহীরা। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, ওই অঞ্চল তাদের এলাকা। অবশ্য গোটা অরুণাচলই তাদের জমি বলে দাবি করে থাকে লাল ফৌজ। এবার আর পর্বতশৃঙ্গের নামকরণ নয়, অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে একটি নতুন আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ খুলল ভারতীয় সেনা। এই সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এটই ভারতের প্রথম আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ। আর্টিলারি বা গোলন্দাজ বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আদোশ কুমার জানিয়েছেন, উত্তর সীমান্তে এই রেঞ্জ বাহিনীকে প্রকৃত অভিযানের অনুভূতি দেবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরও জানিয়েছেন, গত দুই বছরে অরুণাচল প্রদেশে দুটি ফায়ারিং রেঞ্জ চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনী। তাওয়াং-এ একটি ফায়ারিং রেঞ্জ ইতিমধ্য়েই চালু করা হয়েছে। অন্যটির জন্য শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। উত্তর সীমান্তে আরও দুটি রেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই অরুণাচলে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে গোলন্দাজ বাহিনী। এই সুউচ্চ এলাকায় ফায়ারিং রেঞ্জ খোলার ফলে, ওই পরিবেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন সেনা সদস্যরা। যে অভিজ্ঞতা, প্রকৃত অভিযানের সময় তাদের কাজে আসবে।
সেনা সদস্যদের, বিশেষ করে ‘অগ্নিবীর’দের বাস্তবসম্মত পরিবেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য গোলন্দাজ বাহিনী বড় আকারের সিমুলেটরের ব্যবস্থাও করেছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অদোশ কুমার। ড্রাইভিং, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং রেডিও টেলিফোনির মতো বিভিন্ন কাজের জন্য সিমুলেটর আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “সম্প্রতি, আমরা এমনকি, আর্টিলারি স্কুলে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অবজারভেশন পোস্ট সিমুলেটরও চালু করেছি।”