নিজস্ব সংবাদদাতা: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আজ কেভাদিয়ার একতা নগরে সর্দার সরোবর বাঁধ সাইট পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নর্মদা নদীতে প্রার্থনা করেন। এ বছর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সর্দার সরোবর বাঁধ ১১ আগস্ট থেকে উপচে উঠতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৫১ দিন ধরে জলাধারে উপচে পড়েছে মোট ১০,০১২ মিলিয়ন ঘনমিটার অর্থাৎ ৮,১৭৭ MAF জল ওভারফ্লো হয়েছে। যার জেরে গুজরাটে একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
২০২৪ সালে গুজরাটে তীব্র বন্যা হয় যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল। এই দুর্যোগের ফলে অবকাঠামো, ঘরবাড়ি এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। হাজার হাজার বাসিন্দার জীবন বিপর্যস্ত হয়েছিল। বর্ষাকালে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদী ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সর্বত্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং জনগোষ্ঠী স্থানচ্যুত হয়।
সংকটের সময় সরকারের বিশাল ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে আনতে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করেছে এবং প্রভাবিত ব্যক্তিদের আশ্রয়, খাবার এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে। একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেন, "আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ। আমরা সকল উপলব্ধ সম্পদের ব্যবহার করে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি যে ত্রাণ যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে যায়।"
বন্যার অর্থনৈতিক প্রভাব ছিল গভীর, কৃষিক্ষেত্রটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতের কৃষি উৎপাদনে অবদানের জন্য পরিচিত গুজরাট, ফসল নষ্ট এবং কৃষি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই দুর্যোগ কেবল তাৎক্ষণিক খাদ্য সরবরাহকেই প্রভাবিত করে নি, বরং কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য পুনর্গঠন এবং পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।