গ্রেফতার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, জ্বলছে টায়ার, বাসে ভাঙচুর, উত্তাল রাজ্য

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লি আদালত। নাইডুর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ সেপ্টেম্বর, এদিকে টিডিপি রাজ্যে বনধের ঘোষণা করেছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
fire .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)-কে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই দলীয় কর্মীরা ফুঁসছেন। আজ সোমবার বনধেরও ডাক দিয়েছে টিডিপি। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার ও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান টিডিপি কর্মীরা। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তিরুপতি সহ রাজ্যের একাধিক জায়গা। বহু কর্মী রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ অবধি দেখিয়েছেন। অন্যদিকে বহু টিডিপি কর্মীকে গ্রেফতার অবধি করেছে পুলিশ। 

এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে দুর্নীতির মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের আরকে ফাংশন হলে নিজের শিবিরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় ভোরে নাইডুকে নান্দিয়াল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নন্দিয়াল রেঞ্জের ডিআইজি রঘুরামী রেড্ডি এবং সিআইডির নেতৃত্বে একটি বিশাল পুলিশ বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, চন্দ্রবাবু নাইডুর ছেলে ও টিডিপি নেতা নারা লোকেশকে পূর্ব গোদাবরী জেলা থেকে আটক করেছে পুলিশ। টিডিপি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লোকেশের একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে যে পুলিশ তাকে চন্দ্রবাবু নাইডুর সাথে দেখা করতে যেতে বাধা দিয়েছে।
 
সিআইডি এবং পুলিশের একটি দল নাইডুকে গ্রেফতারের জন্য রাত ৩টের সময়ে এসেছিল, তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাহারায় থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স তাদের থামিয়ে দেয়। তাঁরা বলেছিল যে নিয়ম অনুযায়ী তারা ভোর সাড়ে পাঁচটার আগে কাউকে চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে যেতে দেবে না। সেই সময় নাইডু তাঁর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা বাসের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন। অবশেষে সকাল ৬টায় পুলিশ বাসের দরজায় কড়া নাড়লে নাইডুকে গ্রেফতার করা হয়।
 
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য দক্ষতা উন্নয়ন কেলেঙ্কারি (এপিএসএসডিএস) মামলায় চন্দ্রবাবু নাইডুকে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে কয়েক শো কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে টিডিপি সরকারের আমলে এবিএসএসডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বেকার যুবকদের তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে।
 
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) অন্ধ্রপ্রদেশ সিইডি-র দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে কথিত কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে। মেসার্স ডিটিএসপিএল, এর পরিচালক এবং অন্যান্যরা শেল কোম্পানির সহায়তায় বহুস্তরের লেনদেনের মাধ্যমে সরকারী তহবিল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৭০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।