ভারতীয় সেনার ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা, কি জানতে চায় পাকিস্তান?
এনআইএ-র নজরে এবার জিপলাইন অপারেটর, পড়তে হবে জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও
BREAKING : কাল থেকেই শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা ! দেখুন বড় আপডেট
BREAKING : পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছে কংগ্রেস ! গর্জে উঠলেন বিজেপি নেতা
শাহিদ আফ্রিদির মন্তব্য, খুব তাড়াতাড়ি জবাব পাবে বলছে বিজেপি নেতা
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গরম থেকে স্বস্তি মিলবে, ৪ দিন ভারী বৃষ্টি
মোদী সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিলেন এই কংগ্রেস নেত্রী!
পাকিস্তানকে জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে খোলাছাড় দিলেন প্রধানমন্ত্রী
BREAKING : পহেলগাঁও হামলা নিয়ে চুপ কেন বিআরএস (BRS) ? বড় প্রশ্ন করলেন কিষাণ রেড্ডি

পড়ুয়াদের 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়ার নির্দেশ! নতুন করে বিতর্কে রাজ্যপাল

পড়ুয়াদের 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে বলে বিতর্কে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
tamil nadu governor

নিজস্ব সংবাদদাতা: তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে। শনিবার মাদুরাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভাষণ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে আহ্বান জানান তিনি। সেই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যা ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধে।

অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, “চলুন আজ শ্রদ্ধা জানাই এক মহান রামভক্ত কবিকে। আমার সঙ্গে আপনারাও বলুন ‘জয় শ্রীরাম’।’’ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে-সহ বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে।

ডিএমকের মুখপাত্র ধরণীধরণ বলেন, “এটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ। রাজ্যপাল কেন বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছেন? কেন তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি?” তিনি রাজ্যপালকে ‘আরএসএসের মুখপাত্র’ বলেও অভিহিত করেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক আসান মৌলানার অভিযোগ, “রাজ্যপাল যেন একজন ধর্মগুরুর মতো আচরণ করছেন, যা সংবিধান সম্মত নয়।”

publive-image


এর আগে তামিলনাড়ু বিধানসভায় পাশ হওয়া ১০টি বিল রাজভবনে আটকে রাখার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল রবি। বিচারপতি এসবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, রাজ্যপাল এইভাবে বিল আটকে রাখতে পারেন না। রাজ্যপালের পদক্ষেপকে আদালত 'অবৈধ' ও 'স্বেচ্ছাচারী' বলে মন্তব্য করে।

এই প্রেক্ষিতে শনিবার দেশ এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়। প্রথমবারের মতো রাজ্যপালের অনুমোদন বা স্বাক্ষর ছাড়াই বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আইনে পরিণত হয়, যা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।