'বিশ্বস্ত রক্ষিতা'! মহিলাদের উদ্দেশে এ কী বলল হাইকোর্ট?

তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
bombay-high-court-pti-1554450647

নিজস্ব সংবাদদাতা:বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বোম্বে হাইকোর্টের একটি মন্তব্যের তীব্র আপত্তি তুলেছিল যেখানে একজন মহিলার জন্য 'অবৈধ স্ত্রী' এবং 'বিশ্বস্ত উপপত্নী' এর মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। এটাকে নারীবিরোধী আখ্যায়িত করে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, এ ধরনের ভাষা শুধু সাংবিধানিক মূল্যবোধের পরিপন্থী নয়, নারীর মর্যাদার জন্যও অপমানজনক। বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের একটি বেঞ্চ বোম্বে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে যে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার সম্পূর্ণ অনুচিত।

সুপ্রিম কোর্ট তার বিবৃতিতে বলেছে যে কোনও মহিলার বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করা একটি আইনি প্রক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাকে 'অবৈধ স্ত্রী' বলা উচিত। আদালত বোম্বে হাইকোর্টের 24 তম অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত 'বিশ্বস্ত উপপত্নী' শব্দটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। শীর্ষ আদালত এটিকে নারীর অধিকার ও মর্যাদার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে বিচার বিভাগকে তার শব্দ চয়নে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনও বিভাগের মর্যাদা আঘাত না হয়।

এই বিষয়টি হিন্দু বিবাহ আইন, 1955 এর ধারা 24 এবং 25 এর সাথে সম্পর্কিত। ধারা 24-এর অধীনে, মামলার বিচারাধীন থাকাকালীন রক্ষণাবেক্ষণ এবং কার্যধারার খরচ প্রদান করা হয়, যেখানে ধারা 25 স্থায়ী ভরণপোষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে। এই মামলায় পরস্পরবিরোধী মতামত শুনাচ্ছিল সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে যে মহিলাদের জন্য অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সুপ্রিম কোর্টের এই তিরস্কার আলোচনায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন, আদালতের শুধু আইনি বিধানই অনুসরণ করা উচিত নয়, তাদের সিদ্ধান্ত ও মন্তব্য যেন কোনো ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীর মর্যাদা ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন না করে তাও নিশ্চিত করতে হবে। এই সিদ্ধান্তে ভাষার সংবেদনশীলতা ও বিশুদ্ধতা নিয়ে বিচার বিভাগে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।