নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লিতে (Delhi) বসে গোরক্ষকদের প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ করা অসম্ভব। মামলা ফিরিয়ে দিয়ে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। গরু পাচার ও গো-নিধন বন্ধ করতে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হামলা ও গণপিটুনি বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করার দাবিতে মামলা। এমন অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে সম্পত্তি ধ্বংসের বিষয়টিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত।
দিল্লিতে বসে এমন বিচ্ছিন্ন সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে বাস্তবোচিত নয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধারণত আলাদা হয়। আবার রাজ্য ভিত্তিতে তার প্রকৃতি অন্যরকম হতে পারে। আর বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত অভিযোগ সেই রাজ্যের সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষের কাছে করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, গোমাংস সম্পর্কিত বিষয়টিও রাজ্যভিত্তিতে আলাদা। কিছু রাজ্যে গোমাংস গ্রহণ অত্যন্ত স্বাভাবিক।
তাহসিন পুনাওয়ালা মামলায় গণপিটুনির ঘটনায় কিভাবে, কেমন পদক্ষেপ করা যাবে সেই প্রসঙ্গে এই আদালতের বিস্তারিত নির্দেশ আছে। বেশ কিছু রাজ্যের সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। আদালতের অভিমত, ১৩ টি রাজ্যের এমন আইনের বিচার করা সঠিক হবে না। সম্পর্কিত রাজ্যের হাইকোর্টে এজন্য আবেদন করা যায়।
গাড়ি আটকানো, গাড়িতে গরু থাকলে তা পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে এজন্য পুলিশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসনের এই দৃষ্টিভঙ্গির বিচার হওয়া দরকার। আদালতের প্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ ও অভিমত কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। ১৩ টি রাজ্যে এমন আইন আনা হয়েছে বলে মামলাকারীর সওয়াল।