নিজস্ব সংবাদদাতা: হ্যাঁ, ভারতের কপালেই লেখা আছে এক চরম দুঃসময়ের পরিস্থিতি৷ আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কায় তাই আপাতত ঘুম উড়ে যাবে ভবিষ্যতের দিকে তাকালেই৷ বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে ‘সুপার এল নিনো’ আসছে। তাঁদের দাবি, এমন এল নিনোর প্রভাব ভারতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ ফলে একটি ঐতিহাসিক শক্তিধর এল নিনো ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে খুব তাড়াতাড়ি৷
অনেকটা ঘূর্ণিঝড়ের মতো, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ বৃদ্ধির ফলে এল নিনো তৈরী হয়৷ দক্ষিণ আমেরিকার সাগরের উত্তাপ অত্যাধিক রকমের বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সারা পৃথিবীজুড়েই এর ফলাফল দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে৷ এর ফলে খাদ্যশষ্যের উৎপাদন, জলের সুবিধা থেকে শুরু করে সাধারণ প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে শক্তিশালী এল নিনোর প্রভাব প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে৷ জানা গেছে যে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই শক্তিশালী এল নিনোর প্রভাব দেখতে পাবেন ভারতবাসী৷ আর ঠিক তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে৷ এর ফলে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ১৯৯৭-৯৮ বা ২০১৫-১৬-এর সঙ্গে এর তুলনা করা হচ্ছে। এর ফলে সারা পৃথিবীতেই বিপুল পরিমাণে তাপমাত্রার বৃদ্ধি, কোথাও কোথাও খরা, আবার কোথাও কোথাও বন্যার দেখা দিতে পারে৷ সুপার এল নিনো ভারতের স্বাভাবিক ঋতুচক্রের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে৷ কোথাও কোথাও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বেড়ে যেতে পারে আবার কোথাও কোথাও খরার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে৷
অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, এল নিনো ভারতের মৌসুমী বায়ু প্রভাবিত বৃষ্টিকে বেশ কয়েকবার প্রভাবিত করেছে৷ অনেক সময় আগের থেকে ৯০ শতাংশ কম বৃষ্টি দেখা দিয়েছে দেশে যার ফলে তাতে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷