নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, "চুরি করে অন্যদের উপর দোষ দেওয়াটা বাম কংগ্রেস এবং তৃণমূলের পুরনো অভ্যাস। আদানি নিয়েও একই হচ্ছে ।। মূল ইসু থেকে সরে গিয়ে গোল গোল ঘুরলো বিভিন্ন দলের মুখপাত্ররা।। সোজা কথায় উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা তাদের ছিল না কারণ তারা জানে যে দুর্নীতি টা কোথায় হয়েছে এবং তারা এটাও জানে যে দুর্নীতির সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের জোট সঙ্গী এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজেরা সরাসরি জড়িত।। আদানি গোষ্ঠীর থেকে সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছে যারা তারা আজকে হঠাৎ করে চিল্লাতে আরম্ভ করেছে কেন? নিজেদের চুরি ধরা পড়ে যাচ্ছে বলে? US এর কোর্টে চারটে রাজ্যের কথা উঠেছে এবং অভিযোগ সেখানে নাকি ঘুষ দিয়ে কাজ হাসিল করেছে আদানি গোষ্ঠী।। জুলাই 2021 থেকে ফেব্রুয়ারি 2022 এর মধ্যে এই ঘুষের কারবার ঘটেছে।। ছত্রিশগড়ে সেই সময় কংগ্রেসের সরকার ছিল, অন্ধ্রপ্রদেশে YSRCP, তামিলনাড়ুতে DMK এবং উড়িষ্যায় BJD সরকার।। এইসব সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ আছে এবং ঘুষ দিয়েছে নাকি আদানি গোষ্ঠী ।। এর মধ্যে বিজেপি আসলো কোথা থেকে? ভুলে গেলে চলবে না ওই সময়ই পশ্চিমবঙ্গের তাজপুর পোর্টের দায়িত্ব কোনোরকম টেন্ডার ছাড়াই তৃণমূল কংগ্রেস তুলে দেয় আদানি গোষ্ঠীর হাতে।। পিছনে কি ছিল তার উত্তর তৃণমূল দিক।। হঠাৎ করে কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী REVANT REDDY র সরকারের হাতে আদানি গোষ্ঠী 100 কোটি টাকার ডোনেশন কেন দিয়েছিল তার উত্তর তো রাহুল গান্ধী দিতে পারে, বিজেপি কি করে দেবে বলুন? মহারাষ্ট্রের একটা পোর্ট নিয়ে রাহুল গান্ধী মাঝে-মাঝেই কথা বলে কিন্তু সেই পোর্ট MVA অর্থাৎ কংগ্রেস এবং শিবসেনা সরকার Adani র হাতে দিয়েছিল।। কংগ্রেসের আমলে রাজস্থান সরকার প্রায় 58 হাজার কোটি টাকার চুক্তি আদানি গোষ্ঠীকে দিয়েছিল কেন? এই উত্তরগুলো বিজেপি কি করে দেবে বলুন? বামফ্রন্টও কিছু কম যায় না।। কেরালাতে 20,000 কোটি টাকার সমুদ্র বন্দরের Contract আদানি কে বিজেপি দেয়নি, ওটা দিয়েছিল CPM ।। তবে এই বামফ্রন্ট হলো মহান এক রাজনৈতিক দল।। এদের মত চোর খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল আছে।। DMK অর্থাৎ স্ট্যালিনের DMK যার বিরুদ্ধে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ এসেছে সেই পার্টি CPM কে 35 কোটি টাকা নাকি অনুদান দিয়েছিল ভোট লড়ার জন্য।। একটা রাজনৈতিক দল আর একটা রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেয় এরকম জিনিস খুব একটা শুনবেন না।। US কোর্টে নাম উঠেছে যাদের তারা প্রশ্ন তুলছে ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে? রাহুল গান্ধী, বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল উত্তর দিক।। ভারতীয় জনতা পার্টির এই দুর্নীতির সাথে দূর দূর পর্যন্ত কোন সম্পর্ক নেই।।#rahulgandhi লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং তার উচিত এই বিষয় নিয়ে মামলা করা।। তার এটাও উচিত ভূপেশ বাঘেল, স্ট্যালিন ইত্যাদি লোকের গ্রেফতারির দাবি করা।। করবেন কি?" তরুণজ্যোতি তিওয়ারির এই ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।
চুরি করে অন্যদের উপর দোষ দেওয়াটা বাম কংগ্রেস এবং তৃণমূলের পুরনো অভ্যাস। আদানি নিয়েও একই হচ্ছে ।।
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) November 21, 2024
মূল ইসু থেকে সরে গিয়ে গোল গোল ঘুরলো বিভিন্ন দলের মুখপাত্ররা।। সোজা কথায় উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা তাদের ছিল না কারণ তারা জানে যে দুর্নীতি টা কোথায় হয়েছে এবং তারা এটাও জানে যে…