নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪ সালের গঙ্গাসাগর মেলার প্রশাসনিক বৈঠক। কাকদ্বীপ মহকুমা অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়,উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। পুজোর আগেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি, তৎপরত রাজ্য প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক জানান, গঙ্গাসাগর মেলায় রাজ্য সরকারের দফতরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ বছর নতুন করে সাগরতট তৈরির পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কাজও শুরু হবে।
২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে সাগরদ্বীপে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা ওই সময় পূণ্যস্নানের জন্য সমবেত হন গঙ্গা সাগরে। ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন সাগরতটে পূণ্যস্নান করবেন তীর্থযাত্রীরা। কিন্তু সেই মেলার জন্য এখনও অনেকটা সময় হাতে থাকলেও এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিতে চায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরগুলি। গত শনিবার গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছিলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেখানে গিয়ে সেচ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এখন থেকেই শুরু করতে বলেছেন।
বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক এও জানান, মেলা প্রাঙ্গণে কোথায় কী গড়ে উঠবে, সেই নকশা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও, মাটি দিয়ে সাগরতট তৈরির কাজও শুরু করতে বলেছেন সেচমন্ত্রী। এত তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে উৎসবের মরসুম শুরু হচ্ছে অক্টোবর মাসের শেষ মাঝামাঝি সময়ে। শারদ উৎসব শেষ হতে হতে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে। আবার দিপাবলি উৎসব-সহ কালীপুজো ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলা উৎসব শেষ হতে হতে এ বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে। তাতেই ব্যস্ত থাকবে রাজ্য প্রশাসন। সে কারণে গঙ্গাসাগর মেলার মতো বড় আয়োজনের জন্য বিশেষ সময় পাওয়া যাবে না। তাই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মেলা আয়োজনের কাজ শুরু হবে।
এইদিন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান ‘‘প্রতি বছরই আমরা বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের কাজ করি। এ বার অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রস্ততির কাজ শুরু করতে হচ্ছে। যেহেতু অনেক আগে থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাই বাড়তি নজরদারি রাখতে হচ্ছে, যাতে আয়োজনে কোনও খামতি না থেকে যায়।’’