নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ চালু করা হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন। বিরোধীদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু হবে কি না, সেই নিয়ে সরকারি কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ-এর নিয়মগুলো জনগণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন , ২০১৯-এর নিয়মগুলি লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে ভালভাবে অবহিত করা হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে এই আইনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সিএএ-এর অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং অনুদানের জন্য একটি অনলাইন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিএএ প্রণীত হয়েছিল। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি সিএএ আইন হিসেবে কার্যকর হয়। সিএএ-এর নিয়মগুলোকে বিস্তারিতভাবে এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সেই কারণেউ সিএএ বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। এরফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি৷ জানা গিয়েছে, এই তিনটি দেশের হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং পার্সি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, যাঁরা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এই আইনটি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু দল ও বিরোধী দলগুলো বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেন। এরফলে বড় ধরেনর বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে এই আইন বাস্তবায়িত করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। যদিও দেশের একাংশ মনে করেছিল, এই আইন বাস্তবায়িত করতে সরকার আদৌ আগ্রহী নয়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের বেশ অনেকটাই আগে সিএএ আইনের সমস্ত নিয়ম জনগণের জন্য প্রকাশ করা হবে।