যৌন হয়রানি রুখতে এরা একাই একশো!

সচেতনতা তৈরি এবং পরিবর্তন আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
4438a0482e20426fabd0f154a7259077_18

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করা কর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে। এই ব্যক্তিরা এই জরুরি বিষয়টি সমাধানের জন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করে চলেছেন। সচেতনতা তৈরি এবং পরিবর্তন আনার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হলেন ডাঃ সুনীতা কৃষ্ণন, প্রজ্ঞালা-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সংস্থা যৌন পাচারের শিকারদের উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং পুনরায় সংহত করার জন্য কাজ করে। ডাঃ কৃষ্ণনের কাজ এই শিকারদের দুর্দশা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

loCr6SBNzeX2wV7FOdG2

আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হলেন ত্রিশা শেঠি, শেসেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি লিঙ্গ সমতা এবং যৌন হিংসার শিকারদের সহায়তা প্রদানের উপর মনোযোগ দেয়। শেঠির উদ্যোগগুলি মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা এবং তাদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করার লক্ষ্যে।

ভারতে #MeToo আন্দোলন এই কর্মীদের সাহায্যে গতি পেয়েছে। তারা সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কণ্ঠস্বর প্রসারিত করে এবং বেঁচে থাকা লোকদের গল্প ভাগ করে নিয়েছে। এর ফলে সচেতনতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও, ব্রেকথ্রু ইন্ডিয়া-এর মতো সংস্থাগুলি সমাজের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। তারা লিঙ্গভিত্তিক হিংসা এবং তার পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার জন্য প্রচারণা এবং কর্মশালা পরিচালনা করে।

তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কর্মীরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। আইনি বাধা এবং সামাজিক কলঙ্ক প্রায়শই অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে। তবে, তারা তাদের কার্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সকলের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই কর্মীদের অটল সংকল্পের সাথে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তাদের নিবেদিততা অন্যদেরকে এই কার্যে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করে, পরিবর্তনের দিকে একটি যৌথ প্রচেষ্টা তৈরি করে।