ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধস, ভেঙে পড়ল ব্রিজ

কুল্লু জেলা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানালি-চণ্ডীগড়, মান্ডি-পাঠানকোট এবং জলন্ধর-ধরমপুর মান্ডি হাইওয়েতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
bridge hp.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবারও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস এবং গাছ উপড়ে পড়ার কারণে সিমলার বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। চাক্কি মোড়ের কাছে ভূমিধসের কারণে চণ্ডীগড়-সিমলা জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সিমলা ও মান্ডিতে দুই দিনের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া দফতর রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বদ্দিতে বালাদ নদীর উপর সেতুটি ভেঙে গেছে।  

 11111 BANNER.jpeg

সোলানের পাশাপাশি মান্ডি জেলায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি পাত ও ভূমিধসের কারণে মান্ডি জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুল্লু জেলা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানালি-চণ্ডীগড়, মান্ডি-পাঠানকোট এবং জলন্ধর-ধরমপুর মান্ডি হাইওয়েতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কোট্রোপিতে ভূমিধসের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

মাগালে মহাসড়কে ধ্বংসাবশেষের কারণে অনেক যানবাহন কাদায় আটকে পড়েছে। মান্ডি থেকে পান্ডোহ পর্যন্ত অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। পান্ডোহ কাঁচি মোডে অস্থায়ী রুটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকল্প রুট মান্ডি কমান্ড কাটোলাও বন্ধ রয়েছে। তিনটি প্রধান সড়কেই আটকে পড়েছে হাজার হাজার যানবাহন। সড়ক অবরোধের কারণে আপেল ও সবজি রফতানিতে সংকট দেখা দিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। যে কারণে রাজ্যের মানুষ আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে।

 

 

তবে এখনই এরকম মেঘভাঙা বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর বিলাসপুর, হামিরপুর, কুল্লু, মান্ডি, সিমলা, সোলান, সিরমৌর এবং উনা জেলার কিছু অংশে সতর্কতা জারি করেছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে মান্ডি ও সিমলার স্কুলগুলি দু'দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। মান্ডির গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে ১৬২টি রাস্তা অবরুদ্ধ রয়েছে। এ কারণে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন। ধসের কারণে ৩৯.৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে মান্ডিতে ৩৮২টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৭২টি। প্রায় ৭১৩টি গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলশক্তি বিভাগের ৯১টি পানীয় জল প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার মান্ডিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কমলা সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।