হিন্দু ছাত্রীদের নামাজের ট্রেনিং! সত্যিটা জানালো পুলিশ

সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবরের প্রচার বাড়ছে। এবার একটি ভাইরাল ভিডিওর সত্য ফাঁস করলো পুলিশ।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১২৩

নিজস্ব সংবাদদাতা : সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বার বার সতর্ক করা হয়  পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। তাও যেন হুঁশ ফিরছে না এক শ্রেণীর। এবার ট্যুইটারে ভাইরাল  হওয়া একটি ভিডিওর সত্য ফাঁস করলো পুলিশ। 'দ্য জাট অ্যাসোসিয়েশন' এর  ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে আনা হয়েছে গুরুতর অভিযোগ। ভিডিওয় ধরা পড়েছে একটি ক্লাস রুমের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে লাইন দিয়ে ছাত্রীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর ক্লাসরুমে চেয়ারে বসে রয়েছেন শিক্ষিকা। কোনো কিছুর প্রশিক্ষণ চলছে। সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, স্কুলটি উত্তরপ্রদেশের বাগপতে অবস্থিত। যেখানে  একজন মহিলা শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে হিন্দু ছাত্রীদের নামাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও পোস্ট করে সংগঠনের তরফে বিষয়টি হাল্কাভাবে না নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এমনকি পুলিশের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে বিশদ। এরপরই বাগপত জেলার পুলিশের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

 

১

যেখানে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,  ভিডিওটি ছাপরাউলি থানার অন্তর্গত রাঠোদা গ্রামে অবস্থিত হোশিয়ারি দেবী গার্লস ইন্টার কলেজের। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। ভিডিওটি অনেক পুরনো।  অনুষ্ঠানে যেসকল ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী রামপাল শাস্ত্রী, ব্যবস্থাপক ধরমবীর সিং এবং অধ্যক্ষ মুনেশ চৌধুরীর সাথে আলোচনা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল যে ভাইরাল ভিডিওটি  স্কুলের শিক্ষিকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে করা হয়েছিল। কোনো ব্যক্তি তা এডিট করেছেন। সুতরাং, হিন্দু মেয়েদের নামাজ পড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পারস্পরিক সম্প্রীতির অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াবেন না বলে আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।