নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস মণিপুর পুলিশ ও সিএপিএফের সঙ্গে মিলে আজ মণিপুরের পাহাড় ও উপত্যকা এলাকায় এরিয়া ডোমিনেশন অপারেশন শুরু করেছে। ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র উদ্ধারের যৌথ কৌশলের অংশ হিসাবে, এই অভিযানগুলো শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি একটি পরিকল্পিত পদ্ধতিতে অব্যাহত থাকবে।
ড্রোন এবং কোয়াডকপ্টারের নজরদারির আওতায় পরিচালিত এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪০টি অস্ত্র (বেশিরভাগ স্বয়ংক্রিয়), মর্টার, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব অভিযান পরিচালনার সময় স্থানীয়রা যাতে হয়রানির শিকার না হন এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের নির্দেশের পর, মণিপুরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ছিনতাই করা অস্ত্রের মালিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী আরও সতর্ক করেছে যে এই অস্ত্রগুলো আত্মসমর্পণ করতে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনি পদক্ষেপের জন্য দায়বদ্ধ করা হবে।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ছিনতাই করা অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসে সহিংসতার সময় ৪০০০ অস্ত্র এবং প্রায় ৫ লক্ষ রাউন্ড গোলাবারুদ লুট করা হয়েছিল।