মোদী ক্যাবিনেটে শরদ পাওয়ার? চূড়ান্ত ঘোষণা সঞ্জয় রাউতের

সত্যিই কি ২০২৪ সালের আগে বা পরে মোদী ক্যাবিনেটে যোগ দিতে চলেছেন প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)? আজ এই নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন সঞ্জয় রাউত।

author-image
SWETA MITRA
New Update
eqw.jpg

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) তাঁর কাকা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)-কে মোদী সরকারে মন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিকে এই দাবির পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।  যদিও এই নিয়ে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন উদ্ধব ঠাকড়ে গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। তিনি জানান, ‘অজিত পাওয়ার এতটা বড় নেতাও নন যে তিনি শরদ পাওয়ারকে প্রস্তাব দিতে পারেন। শরদ পওয়ার সাহেব অজিত পাওয়ারকে বানিয়েছিলেন, অজিত পাওয়ার শরদ পাওয়ারকে বানাননি। মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের মর্যাদা অনেক বেশি।‘

 

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে শরদ পাওয়ার অজিত পাওয়ারের কাছ থেকে দুটি প্রস্তাব পেয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে অজিত পাওয়ার তাঁর কাকাকে কৃষিমন্ত্রী বা নীতি আয়োগের চেয়ারপার্সনের পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

 

শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিলকেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে শরদ পাওয়ার এই দুটি প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছিলেন যে তিনি কোনও পরিস্থিতিতেই বিজেপির সাথে যাবেন না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে শরদ পাওয়ার শনিবার পুনেতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তাঁর ভাইপোর সাথে একটি গোপন বৈঠকের সময় এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন। এই বৈঠকে অজিত পাওয়ার তাঁকে আরও একবার বিজেপির সঙ্গে আসতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে প্রবীণ নেতার গোপন বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে মহা বিকাশ আঘাড়িতে।

 

কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নানা পাটোলে, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও এই বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছেন। কংগ্রেস এবং শিবসেনা উভয়ই বলেছে যে শরদ পাওয়ারের গোপনে তাঁর ভাইপোর সাথে দেখা করা ভুল ছিল। এটি একটি খারাপ বার্তা যাচ্ছে সকলের সামনে। একই সঙ্গে শরদ পাওয়ার এই বৈঠকগুলিকে পারিবারিক বিষয় ছাড়া আর কিছুই বলে বর্ণনা করছেন না। শনিবারের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রবীণ নেতা শরদ পওয়ার বলেন, "অজিত পাওয়ার আমার ভাইপো। কাকা ও ভাইপোর মধ্যে এক সাধারণ বৈঠক নিয়ে এত আলোচনা কেন হচ্ছে?” এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি দুজনের মধ্যে হওয়া বৈঠক ‘সাধারণ’ ছিল?