নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ইন্ডিয়া (India) বনাম ভারত (Bharat) দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই কাটছে চাইছে না। যত সময় এগোচ্ছে এই নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে। জি ২০ সম্মেলন চলাকালীন এই দ্বন্দ্ব যেন আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেমপ্লেট থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানে বহু জায়গায় ইন্ডিয়ার বদলে ভারত নাম লেখা থাকায়। এসবের মাঝেই আবারও একবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করতে পিছু পা হলেন না বর্ষীয়ান সাংসদ ও শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। আজ সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘মোদীর বিজেপি ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে ভারত করেছে। এটা ভয় ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০০৪ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ইন্ডিয়াকে ভারত হিসাবে উল্লেখ করার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এটি পাস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমান করুন কে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল? বিজেপি এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল এবং ওয়াকআউট করেছিল। এখন তারা ইন্ডিয়াকে চায় না। ভণ্ডামিরও একটা সীমা হয়।‘
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভারত মন্ডপে জি-২০ অনুষ্ঠানের সময় আয়োজিত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে 'দ্য প্রেসিডেন্ট অব ভারত'-এর পক্ষ থেকে। এই আমন্ত্রণপত্রে মুদ্রিত 'ভারত' শব্দটিকে নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি বলছে, ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারও দেশের নাম নিয়ে আক্রমণ করছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদে যখন বলা হয়েছে যে ভারত রাজ্যগুলির ইউনিয়ন, তখন কেন ভারত শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে? তবে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, সংবিধানে যখন ভারত ও ভারতের কথা বলা হয়েছে, তখন তাতে কোনও সাংবিধানিক আপত্তি থাকা উচিত নয়। কিন্তু শুধু কংগ্রেস ই নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারাও এই নাম নিয়ে ভারতের সমর্থনে টুইট করছেন এবং বিবৃতি দিচ্ছেন।