বন্যায় আটকে একের পর এক মানুষ, দুঃসাহসিক অভিযান IAF-র

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) মঙ্গলবার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে যে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে এই দুই রাজ্যের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
iaf.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চারিদিকে জল থইথই অবস্থা। বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। চারিদিকে শুধু মানুষের কান্না, হাহাকার শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতির রোষের মুখে পরে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক মানুষের। ধসে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। সবমিলিয়ে চরম ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দারা। এরই মাঝে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশের বন্যাকবলিত এলাকায় আইএএফ হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। একটি বাড়ির ছাদে আটকে পড়া কিছু মানুষকে উদ্ধার করছেন বায়ুসেনার কর্মীরা। 

 

হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য রাজ্যগুলিতে দ্বিতীয় দফার মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে গত দু'দিনে বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজধানী সিমলায় ধ্বংসলীলা যেন থামছেই না। সিমলার লালপানি এলাকায় গাছ পড়ে বহু বাড়ি ও অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

 

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জনগণের কাছে আবেদন করেছেন যে যদি তাদের বাড়িতে কোনও ফাটল দেখা দেয় তবে অবিলম্বে তা যেন খালি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিমলা-সহ বৃষ্টিকবলিত বহু এলাকায় বুধবার অর্থাৎ আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন তিনি।

 

অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসনের আবেদনে ভারতীয় সেনাবাহিনী রাজ্যে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য তাদের অনেক সৈন্য মোতায়েন করেছে। সিমলা, ফতেহপুর, ইন্দোরা ও কাংড়া জেলায় উদ্ধারকারী দলদের মোতায়েন করা হয়েছে। একের পর এক জেলায় বৃষ্টিপাতের সর্বাধিক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই ট্র্যাজেডির কারণে সেখানে বেড়াতে আসা বিদেশী পর্যটকরা অনেক জায়গায় আটকে পড়েছেন। তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

 

এদিকে উত্তরাখণ্ডেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক সেতু ও রাস্তা ভেসে গেছে। যার কারণে মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছে। দেরাদুন, তেহরি, পৌরি এবং উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য জেলায় কমলা সতর্কতা এবং অন্যান্য জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কন্টিনজেন্টগুলি ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে। চারধাম যাত্রায় আসা লোকদের আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখার পরেই রাজ্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।