নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ যাত্রায় ভারতের বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গে যখন আমরা বিদায় জানাতে বেরিয়েছিলাম, তখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তাঁর শববাহী গাড়িটি। গাড়ির সামনে ঝুলছিল "টাটা মোটরস" ব্র্যান্ডের লোগো। এটি ছিল একটি গভীরভাবে প্রতীকি দৃশ্য—যেখানে রতন টাটা, যিনি টাটা গ্রুপের অবিস্মরণীয় নেতা, সেই টাটারই গাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
গাড়ির ভিতরে তিনি শুয়ে ছিলেন, নীরবতা এবং শান্তিতে। তাঁর সাফল্য, মানবিকতা এবং সেবামূলক কাজের স্মৃতি যেন সেই দৃশ্যের প্রতিটি মুহূর্তে বিরাজমান ছিল। এটি আসলে একটি সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তির জীবনের চিত্রায়ন—যিনি কেবল ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেননি, বরং সমাজের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
রতন টাটার জীবন ছিল দানশীলতা ও মানবিকতার একটি উদাহরণ। তিনি যেভাবে গরিবদের সহায়তা করেছেন, শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং বিভিন্ন সঙ্কটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁর শেষ যাত্রায় “টাটা মোটরস”-এর লোগো যেন জানান দেয়, তাঁর শিকড় কোথায় ছিল এবং তিনি কীভাবে ভারতের শিল্প ও সমাজকে পরিবর্তন করেছেন।
এভাবে, তাঁর মৃত্যুর পরের মুহূর্তগুলো একটি সত্যিকার অর্থে প্রভাবশালীর সামাজিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে যে, একটি কোম্পানির নামের চেয়ে একজন মানুষের দানের এবং তাঁর কৃতিত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি।