বাতিল ৩ আইন, বিজেপিকে টার্গেট সাংসদের

সংসদের বর্ষা কালীন অধিবেশনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান কোড অফ জাস্টিস ২০২৩, ইন্ডিয়ান সিভিল ডিফেন্স কোড ২০২৩ এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স বিল ২০২৩।

author-image
SWETA MITRA
New Update
amit kapil.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সংসদের বর্ষা অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় ব্রিটিশ উত্তরাধিকার আইনগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য তিনটি বিল উত্থাপন করেছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি বিল ২০২৩ (বিএনএস ২০২৩)- এর প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)।

 

কপিল সিব্বল প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায়বিচার কোড ২০২৩-কে রাজনৈতিক বিরোধীদের চুপ করানোর এজেন্ডা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি তার অভিযোগের পক্ষে তিনটি যুক্তি উপস্থাপন করেন। প্রথমত, বিএনএস ২০২৩ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক পুলিশ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। দ্বিতীয়ত, এটি পাস হলে পুলিশ যে কোনও ব্যক্তিকে ১৫ থেকে ৬০ বা ৯০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি পাবে। তৃতীয় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশকে এক তরফা ক্ষমতা দেয় যারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার।‘  

 

তিনি আরও বলেন, 'এ দেশে সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুলিশ বাহিনীর অপব্যবহার। যেখানেই বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, সেখানেই রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা চালানো হবে এবং পুলিশ বাহিনী ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নির্দেশে কাজ করছে।‘

 

 

অমিত শাহ সংসদে দাবি করেন যে নতুন প্রস্তাবিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অবসান ঘটানো হয়েছে, অন্যদিকে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে, তবে আইন বিশেষজ্ঞরা এই বিল সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করছেন।

 

উল্লেখ্য, সংসদের বর্ষা কালীন অধিবেশনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান কোড অফ জাস্টিস ২০২৩, ইন্ডিয়ান সিভিল ডিফেন্স কোড ২০২৩ এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স বিল ২০২৩। ভবিষ্যতে পাস হলে এই বিলগুলি আইপিসি, সিআরপিসি এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টকে প্রতিস্থাপন করবে। শুধু তাই নয়, বিলটি আইনে রূপ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন আইন অনুযায়ী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে পুলিশ। কপিল সিব্বল বলেন, বানৌজা পাস হওয়ার ফলে পুলিশ এমন ক্ষমতা পাবে যা ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের দমন করতেও ব্যবহার করতে পারে।

 

গতকাল অমিত শাহ তাঁর ভাষণে বলেন, "১৮৬০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের তৈরি আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছিল। তিনটি আইন পরিবর্তন করা হবে এবং দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আসবে। "