নিজস্ব সংবাদদাতা: আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী দুই দিনের মধ্যে দিল্লি, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশেও ভারী বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দফতর এই রাজ্যগুলির জন্য কমলা এবং লাল সতর্কতা জারি করেছে। কর্ণাটকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট রয়েছে, যার কারণে সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আসামের ২৯টি জেলায় বন্যার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে শহরাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ায় লোকজনকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দূর-দূরান্তে যতদূর চোখ যায় শুধু জল। সেখানে নদীর অন্য তীর কোথায় আর গ্রামের সীমানা কোথায় তার পার্থক্য করা কঠিন। রাস্তা-ঘাট, ফুটপাত সবই বন্যায় তলিয়ে গেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে গুয়াহাটিতেও। ভূমিধসের কারণেও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিহারেও গত ২৪ ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টির কারণে রাজ্যের নদীগুলি সাধারণ মানুষের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়েছে। কোসিসহ অনেক নদীর জলস্তর বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিহারের জলসম্পদ দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুলাই থেকে বাঁকা, বেগুসরাই, ভাগলপুর, ভোজপুর, বক্সার, গয়া, জেহানাবাদ, কাইমুর, কাটিহার, খাগরিয়া, মুঙ্গের, নালন্দা, পাটনা, নওয়াদা, পূর্ণিয়া, সরণ, শেখপুরা, সিওয়ান এবং বৈশালী সহ অনেক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
নেপালের ক্যাচমেন্ট এলাকায় অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় নদীগুলো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।