নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সংসদের বর্ষা কালীন অধিবেশনের শেষ দিনে অর্থাৎ শুক্রবার পাঞ্জাবের রাজ্যসভার সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরি শিখদের জন্য দুটি আসন সংরক্ষণ এবং উপত্যকায় শিখদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই লোকসভায় উত্থাপন করেছিল। বিলটি জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ সংশোধন করতে চায় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায় কাশ্মীরি অভিবাসীদের জন্য দুটি আসন এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) থেকে বাস্তুচ্যুত দের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখতে চায়। বিলের বিধান অনুসারে এই সদস্যদের এলজি মনোনীত করবেন।'
সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিক্রমজিৎ সাহনি জোর দিয়ে বলেন, 'মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের রাজ্য থেকে শুরু করে শিখরা শত শত বছর ধরে উপত্যকায় বসবাস করছেন এবং উপত্যকার অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতো তারাও সমানভাবে বেদনা ও দুঃখ ভোগ করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, "আজ পর্যন্ত, কাশ্মীর উপত্যকায় এক লক্ষেরও বেশি শিখ বাস করে যারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে যায়নি এবং কয়েক দশক ধরে নৃশংসতার মধ্যে বসবাস করছে। মনোনীত সদস্য হিসাবে বিধানসভায় তাদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বও প্রাপ্য। এখন, যখন সরকার তিনটি আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে আসছে, তখন আমাদের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য গঠন ও সুরক্ষায় শিখ সম্প্রদায়ের বীরত্ব এবং অবদানের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। জাতি হিসেবে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের শিখ জনগোষ্ঠীকে ন্যায্য অংশ ও প্রতিনিধিত্ব দিতে বাধ্য।"
পাঞ্জাবের সাংসদ আরও বলেন, 'কাশ্মীর উপত্যকায় শিখরা অনেক নৃশংসতার শিকার হয়েছে যেখানে বেশ কয়েকজন নিরপরাধ শিখকে হত্যা করা হয়েছিল এবং মেহজুর নগরে শিখ গণহত্যায় নিরপরাধ শিখদের জীবন মারাত্মক আহত হয়েছিল।'
তিনি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে শিখদের জন্য সংখ্যালঘুর মর্যাদা এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজের অধীনে শিখদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণের দাবি জানান।