নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের বহু দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সনাতনী প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মহাকুম্ভে পৌঁছতে চলেছেন। ৪০ কোটিরও বেশি মানুষকে স্বাগত জানাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রয়াগরাজে সঙ্গমের তীরের বালির উপর এমন এক দিব্য নগরী গড়ে উঠছে, যা বিশ্বের মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। বিশাল, ঐশ্বরিক ও নৌ-মহাকুম্ভের জাঁকজমক এমন হবে যে, এমন ঘটনা আগে বিশ্ব দেখেনি বা শোনেনি।
দেবতাদের প্রিয় সঙ্গম নগরীতে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও পবিত্রতার এমন এক দৃশ্য দেখতে পাবেন যা দেখে মানুষ সারাজীবন এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবে না। বিশ্বের শতাধিক দেশের মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। মহা কুম্ভের জাঁকজমক দেখতে অনেক দেশের জাতীয় প্রধানরাও আসবেন। তবে এই মহাকুম্ভে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি রয়েছে...যা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হতে পারে। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে...এবং সারা দেশের সাধু-সন্ন্যাসীরা এতে একমত।
মুসলমানদের সর্বকালের সবচেয়ে বড় ও ঐশ্বরিক মহা কুম্ভের আয়োজন থেকে দূরে রাখার জন্য সন্ত সমাজের দাবির কারণে মুসলমানরা অস্থির। সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন বেরেলভি বলেছেন যে কুম্ভে মুসলমানদের দোকান স্থাপন করা হবে না এটা দুঃখজনক এবং আশ্চর্যের বিষয়। কোটি কোটি টাকার মহাকুম্ভের অর্থনীতি মুসলমানদের কিছুই দেবে না। মুসলমানরা এটা হজম করতে পারছে না।
এতে হতবাক প্রয়াগরাজের মুসলিম ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেছেন যে এতে তার ব্যবসা অর্ধেকেরও কম হবে। একই সাথে, মুসলিম ধর্মীয় নেতারা মনে করেন যে বর্তমানে মুসলমানদের উপর বিধিনিষেধের সময়কাল চলছে। মুসলিম ধর্মীয় নেতা কাজী আনাস আলী বলেন, 'মুসলিমদের নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। মুসলমানদের কোনো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এখন কোনো মুসলমান যদি মহাকুম্ভে ব্যবসা করতে চায়, তাকেও করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এদিকে মহাকুম্ভে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অনড় সন্ত সমাজ।